নিউ দিল্লি : পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে দলের ফলাফল "খুবই হতাশাজনক"। দলের সংসদীয় কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে একথা বললেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। এমনটা প্রত্যাশিত ছিল না বলে তিনি মনে করেন। 


তিনি বলেন, " দুর্ভাগ্যক্রমে সব রাজ্যে আমাদের ফল খুবই খারাপ হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আলোচনার জন্য শীঘ্রই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে। কিন্তু, এই হার থেকে নম্রতার সঙ্গে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।"


পশ্চিমবঙ্গে এবার বামফ্রন্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভোটে লড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু, ভরাডুবি হয়। তৃণমূল ২১৩টি আসনে এবং বিজেপি ৭৭টি আসনে জয়লাভ করে।


কেরলে ক্ষমতায় না এলেও নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে পেরেছে কংগ্রেস। এখানে এবার ৪১টি আসন পায় দল। ২০১৬-র থেকে একটি কম। অন্যদিকে ৯৯টি আসনে জিতে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় ফেরে বামফ্রন্ট। বিজেপি খাতা খুলতে পারেনি।


তামিলনাড়ুতে অবশ্য তুলনামূলভাবে ফল ভালো করেছে দল। দক্ষিণের এই রাজ্যে এবার DMK-র সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় ফিরেছে সনিয়া-ব্রিগেড। তামিলনাড়ুতে ২৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তার মধ্যে ১৮টিতে জয়লাভ করে। 


পুদুচেরিতে ক্ষমতায় ফিরতে ব্যর্থ হয়। ভোটের আগে আগেই এই রাজ্যে ক্ষমতা হারায় কংগ্রেস। আর এবার ভোটে এনআর কংগ্রেস-বিজেপি জোট ৩০টির মধ্যে ১৬টি আসন জিতে নেয়।


২০১৬-র আগে পর্যন্ত অসমে শক্ত জমি ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু, শেষমেশ এবারও ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি। এবার এখানে বিজেপি পায় ৬০টি আসন, তাদের জোটসঙ্গী AGP ৯টি এবং UPPL ৬টি। অন্যদিকে কংগ্রেস ২৯টি আসনে জয়লাভ করে। তাদের জোটসঙ্গী AIUDF পায় ১৬টি, BPF চারটি এবং সিপিএম ১টি।


সম্প্রতি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তেজস্বী যাদবের RJD-র সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল কংগ্রেস। ৭০টি আসনে লড়াই করে মাত্র ১৯টি আসনে জয়লাভ করেছিল। 


গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন নির্বাচনের দলের খারাপ ফল নিয়ে সম্প্রতি গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, কপিল সিব্বল সহ বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব সরব হয়েছিলেন। আগস্ট মাসে সনিয়াকে চিঠি লিখে সর্বক্ষণের নেতৃত্বের দাবি জানিয়েছিলেন ২৩ জন নেতা। তা নিয়ে দলের অন্দরে কম কোন্দল হয়নি। এরপর জানুয়ারিতে ঠিক হয়, ২০২১-এ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের পর জুন মাসে কংগ্রেসের নতুন সভাপতি ঠিক করা হবে।