কলকাতা: রাজ্যে বেলাগাম করোনা, দৈনিক সংক্রমণে ফের রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯২১৬। মৃত্যু হয়েছে ১১২ জনের। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৭৮০ জন। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯১৫ জন, মৃত ২৮ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯৫৭ জন, মৃত ৩৩ জন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬৬। একদিনে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৩২৪। মোট অ্যাক্টিভ কেস ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৮। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৭৬ জনের। সুস্থতার হার ৮৫. ৭৩ শতাংশ। বর্তমানে হোম কোয়ারান্টিনে আছেন ৬১ হাজার ৬৮০ জন। বুলেটিন অনুযায়ী, ৬৪ হাজার ৫৫১ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
এদিকে রাজ্যে ‘চিকিৎসায় গাফিলতি’ করোনা আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর অভিযোগ থেকে একাকী বৃদ্ধার মৃত্যু ঘটনা সামনে এসেছে। সিউড়ি হাসপাতালে ‘চিকিৎসায় গাফিলতি’তে করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। দু’ঘণ্টা পর দিলেও সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন না দেওয়ার অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, ফের করোনা পরীক্ষার জন্য খুলে নেওয়া হয় অক্সিজেন। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়া সত্ত্বেও আসেননি ডাক্তার-নার্স। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ মৃতার পরিবারের। হাসপাতাল সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব সিএমওএইচের।
হুগলির চুঁচুড়ায় এক করোনা রোগী বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু। ওই মহিলা একাই থাকতেন বাড়িতে। তাঁর ছেলে-বউমা থাকেন শহরের অন্য প্রান্তে। কয়েকদিন আগে ওই বৃদ্ধা করোনা আক্রান্ত হন। তাঁর ছেলে-বউমাও করোনা আক্রান্ত। গতকাল সকাল থেকে তাঁর আত্মীয়রা ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত তাঁর ছেলে খবর দেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায়। সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা গিয়ে দেখেন, মহিলা বিছানায় কাতরাচ্ছেন। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। টিভি চলছে। তাঁরা ওই বৃদ্ধার ছেলেকে বাড়ির দরজা বন্ধ বলে জানান। ছেলের অনুমতি পাওয়ার পর তাঁরা ওই বৃদ্ধাকে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।