সিমলা : মাঝে ১০ বছর। ফের হারানো জমি নিজেদের দখলে নিল কংগ্রেস (Congress)। দেশের অন্যতম পুরনো সিমলা পুরসভা 'হাত'-এর দখলে। বিজেপির (BJP) হাতে থাকা সিমলা পুরসভা ছিনিয়ে নেওয়ার পর কংগ্রেস কর্মীদের শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি কর্ণাটকও একই পথে এগোবে বলে প্রত্যয়ী বার্তা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। ৩৪ আসনের সিমলা পুরসভায় দুই-তৃতীয়াংশ আসনেই জিতেচে কংগ্রেস। হিমাচল প্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুকুর নেতৃত্বে ২৪ টি আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৯টি আসন। এদিকে, একটি আসন গিয়েছে সিপিএমের (CPIM) দখলে। ভোটের লড়াইয়ে নামলেও সিমলা পুরসভার (Shimla Municipal Corporation) ভোটে খাতা খুলতে পারেনি আম আদমি পার্টি (AAP)।
হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের ছায়া থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস কেমন ফল করে সেদিকে নজর ছিল সকলেরই। এই প্রথমবার হিমাচলের ছ'বারের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বাদ দিয়ে প্রচারে নেমেছিল কংগ্রেস। খোদ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সুকু ছিলেন প্রচারের নেতৃত্বে। প্রথম লিটমাসে টেস্টে বিজেপির হাত থেকে সিমলা পুরসভা ছিনিয়ে নিয়ে তিনি সসম্মানেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে প্রথম পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি তাদের আলোচনার কেন্দ্রে আপাতত কর্ণাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly Election)। আগামী ১০ মে যেখানে নির্বাচন।
যে ভোটই আপাতত পাখির চোখ কংগ্রেস নেতৃত্বের। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সিমলা পুরসভা জেতার পর কর্মীদের উদ্দেশে শুভেচ্ছাবার্তার পাশাপাশি যা নিয়ে লিখেছেন, 'সিমলা পুরসভায় জয়ের জন্য কংগ্রেসের সিংহ-হৃদয় নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের শুভেচ্ছা। মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করে এগিয়ে চলেছে হিমাচল সরকার। যার জেরে মানুষও কংগ্রেসে আস্থা রেখেছেন। এবার সময় এসেছে কর্ণাটকের।'
আরও পড়ুন- পাক বিদেশমন্ত্রীর সামনে সীমান্তপারের সন্ত্রাস অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান এস জয়শঙ্করের
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পরই হিমাচলে সরকারি কর্মীদের জন্য ফের পুরনো পেনশন নিয়ম ফিরিয়েছে কংগ্রেস সরকার। পাশাপাশি মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য আর্থিক সাহায্যও করছে সুখবিন্দর সিংহ সুকুর সরকার।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর পর তা যেন আর ফিরে না আসে, নিজের খেয়াল রাখুন নিয়ম মেনে