গোয়া: 'সীমান্তপারের সন্ত্রাস (Cross Border Terrorism) অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে', SCO-গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar)। সামনে পাক (Pakistan) বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) বিলাবল ভুট্টো জারদারি। বৈঠকের সভাপতি হিসেবে জয়শঙ্কর আরও বলেন, যে সব পথে সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত দেওয়া হয় সেগুলিও পুরোপুরি বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে।  


আর কী?
ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, 'অবলীলায় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। বিষয়টি থেকে চোখ ঘুরিয়ে রাখলে আমাদেরই নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা মনে করি, সন্ত্রাসবাদের কোনও যুক্তি থাকতে পারে না। সীমান্তপারের সন্ত্রাস থেকে শুরু করে অন্য যে কোনও রূপেই সে সামনে আসুক না কেন, বিরোধিতা করতেই হবে। এই ভাষণের কিছুক্ষণ আগেই SCO-গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সকলকে 'নমস্কার' করে অভ্যর্থনা জানান জয়শঙ্কর। এই বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারিও। তাঁর সামনেই উদ্বোধনী ভাষণে জয়শঙ্কর মনে করান, জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত দেয় এমন সমস্ত পথ কোনও ধরনের বাছবিচার না করেই বন্ধ করা উচিত। SCO-র একেবারে প্রাথমিক প্রস্তাবে যা বলা হয়েছিল, তার অন্যতম যে এটি, সে কথাও উঠে এসেছে জয়শঙ্করের ভাষণে। পাশাপাশি আফগানিস্তানে তালিবানি শাসনের দাপট যে ক্রমেই বাড়ছে, মনে করিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। প্রতিশ্রুতি যা-ই হোক, ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধীরে ধীরে  তালিবান যে পুরনো মূর্তিতেই ফিরেছে, সেটিও স্পষ্ট তাঁর কথায়। যেমন, মহিলাদের লেখাপড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা এখনও জারি রেখেছে তারা। জয়শঙ্করের কথায়, 'এমন অবস্থায় আফগান জনতার পাশে দাঁড়ানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। নির্দিষ্ট করে বললে ত্রাণ, আমজনতার প্রতিনিধিত্ব করে এমন সরকার, সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক চোরাচোলান মোকাবিলা, নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

SCO সম্পর্কে...
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন আঞ্চলিক রাজনীতি ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তৈরি একটি গোষ্ঠী। রাশিয়া, চিন, ভারত ও পাকিস্তান এই গোষ্ঠীর সদস্য। এই চারটি দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক চলছে গোয়ায়। ২০১৭ সালের জুন মাসে SCO-র পূর্ণ সময়ের সদস্য হয়েছিল ভারত। চারটি সদস্য দেশ ছাড়াও বেশ কয়েকটি অবজার্ভার বা পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রও রয়েছে SCO-তে। আফগানিস্তান, ইরান, বেলারুশ ও মঙ্গোলিয়া রয়েছে এই তালিকায়। তা ছাড়া, আলোচনা ছটি দেশ রয়েছে 'ডায়লগ পার্টনার' হিসেবেও। দুদশক আগে তৈরি এই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন আঞ্চলিক কূটনীতির অন্যতম শক্তিশালী কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসে। সদস্যরাষ্ট্রদের মধ্যে আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। এই গোষ্ঠীর সদস্য রাষ্ট্রগুলি গোটা বিশ্বের ২৫ শতাংশ জিডিপি নিয়ন্ত্রণ করে। স্বাভাবিক ভাবেই SCO-র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। তার উপর ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চাপ সত্ত্বেও বিলাবলের এ দেশে আসা আলাদা নজর কেড়েছে।  


আরও পড়ুন:অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর পর তা যেন আর ফিরে না আসে, নিজের খেয়াল রাখুন নিয়ম মেনে