পুরুলিয়া:  তৃণমূল জমানায় অত্যচারের শিকার হয়েছেন বাংলার মানুষ বলে অভিযোগ করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে জানিয়ে রাখলেন, নির্বাচনের পর বাংলায় 'আসল পরিবর্তন' আসবে।


ব্রিগেড সমাবেশের ১১ দিনের মাথায় ফের রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। পুরুলিয়ার ভাঙড়া নবকুঞ্জ ময়দানের জনসভায় বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি রাজ্যের শাসক দলের অপশাসনের অভিযোগ তোলেন। 


মোদি বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। গরিবের টাকা লুঠ করে তৃণমূল সরকার। কয়লা মাফিয়াদের সাহায্য নিচ্ছে তৃণমূল সরকার। নিজের সুবিধার জন্য মাওবাদীদের প্রশ্রয় দেয় তৃণমূল সরকার।


 



 


মোদি জানিয়ে রাখেন, বাংলার মানুষ তৃণমূলের অনেক অত্যাচার সহ্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষ বলছে অত্যাচার অনেক করেছ দিদি। ভয় দেখানোই তোমার অস্ত্র, রুখে দাঁড়াবে এবার বাংলার মানুষ। মা দুর্গার আশীর্বাদে করবে তোমায় পরাস্ত।’


প্রধানমন্ত্রীর মতে, এবার নির্বাচনের পর বাংলায় সিন্ডিকেট রাজ থেকে শুরু করে কাটমানি বন্ধ হবে। বলেন, ‘বাংলায় সিন্ডিকেট রাজ বন্ধ হবে, কাটমানি বন্ধ হবে। বাংলায় তোলাবাজিদের পরাজয় হবে। নির্বাচনের পর তৃণমূল শুধু হাতে গোনা থেকে যাবে।’


মোদির মতে, ব্রিগেডের সভার পরে কী হচ্ছে দেশের মানুষ দেখছে। বলেন, ‘এবার বাংলার মানুষ দিদির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে। ১০ বছর ধরে দুর্নীতি হয়েছে, এবার মানুষ সাজা দেবে তৃণমূলকে। ১০ বছর ধরে তোষণের রাজনীতি দেখেছে রাজ্যবাসী। মানুষ সব মনে রেখেছে।


 



 


বহিরাগত-তত্ত্ব নিয়ে মমতাকে নিশানা করেন মোদি। বলেন, ‘দিদি আমার ওপর রাগ দেখাচ্ছেন। বিজেপি নেতাদের ওপর রাগ দেখাচ্ছেন দিদি। দিদিও ভারতের মেয়ে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা আছে। দিদির চোট লেগেছে, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন দিদি।’


এদিন সভা থেকে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেন মোদি। বলেন, দিদির বাংলায় টিএমসি মানে ট্রান্সফার মাই কমিশন। জনধন অ্যাকাউন্ট নিয়েও ভয় পান মমতা। ’


প্রধানমন্ত্রীর দাবি, চুরির খেলা আর চলবে না। বলেন, ‘দিদির সরকার যাওয়ার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।  বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল মুছে যাবে। বলেন, ‘লোকসভায় তৃণমূল হাফ, বিধানসভায় পুরো সাফ।’


 



 


মোদি যোগ করেন, ‘২ মে দিদি যাচ্ছে, আসল পরিবর্তন আসছে। এই বার ভয় নয়, শুধু জয়।’