বেঙ্গালুরু: সুস্বাদু মোমো খেয়ে খিদে মেটাতে চেয়েছিলেন। সেই মতো তড়িঘড়ি খাবার অর্ডারও করেছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও মোমো হাতে পাননি। উল্টে মোমো তাঁর হাতে পৌঁছে গিয়ে বলে মেসেজ আসে। সেই নিয়ে অভিযোগ জানালেও সুরাহা হয়নি। আইনের দ্বারস্থ হতে প্রায় এক বছর পর বিচার পেলেন কর্নাটকের তরুণী। (Zomato Momo Compensation)


কর্নাটকের ধরওয়াড়ের ঘটনা। সেখানকার ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্ডার গ্রহণ করেও তরুণীর হাতে মোমো পৌঁছে দিতে না পারার জন্য জরিমানা করা হল Zomato-কে।  ক্ষতিপূরণ বাবদ ওই তরুণীকে ৬০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা Zomato-কে নির্দেশ দিল আদালত। আদালতের নির্দেশে যারপরনাই খুশি ওই তরুণী। তবে এর জন্য প্রায় এক বছর লড়াই চালিয়ে যেতে হল তাঁকে। (Consumer Court)


জানা গিয়েছে, গত বছর ৩১ অগাস্ট অনলাইন অ্যাপে মোমো এর্ডার করেন ওই তরুণী। গুগল পে-র মাধ্যমে ১৩৩.২৫ টাকা দাম মেটান মোমোর। মোমো তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে ১৫ মিনিটের মধ্যে মেসেজ ঢোকে ফোনে। কিন্তু বাস্তবে মোমো হাতেই পাননি ওই তরুণী। তাঁর বাড়িতে আসেনইনি ডেলিভারি বয়। 


আরও পড়ুন: Narendra Modi: সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন মোদি, অনুগামীর সংখ্যায় ধারেকাছে নেই কেউ


সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রেস্তরাঁয় ফোন করেন ওই তরুণী। তারা জানায়, ডেলিভারি পার্চনার অনেক আগেই মোমো নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। অ্যাপ থেকে ওই ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে যোগাযোগেরও চেষ্টা করেন অভিযোগকারিণী। কিন্তু উত্তর মেলেনি। ইমেলে Zomato-কে অভিযোগ জানালে সমাধানের জন্য ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলা হয় তাঁকে। কিন্তু তাতেও সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর আইনের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী। 


তবে আদালতেও কম লড়াই লড়তে হয়নি অভিযোগকারিণী। আদালতে Zomato-র আইনজীবী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওই তরুণী মিথ্যে অভিযোগ করছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এর পর Zomato-কেও ৭২ ঘণ্টা সময় দেয় আদালত জবাব দেওয়ার জন্য। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে জবাব মেলেনি। ফলে Zomato-র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। এর পর আদালত Zomato-কে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি মোমোর দাম বাবদ ১৩৩.২৫ টাকাও ফেরত দিতে বলা হয়। 


ক্রেতা সুরক্ষা আদালত জানিয়েছে, পণ্য সরবরাহের ব্যবসা করছে Zomato. বিল থাকা সত্ত্বেও তাদের গ্রাহক নিজের কেনা পণ্য হাতে পাননি। অর্থাৎ সঠিক পরিষেবা তো দিতেই পারেনি ওই সংস্থা, উল্টো তরুণীকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। ফলে তাদের কাঁধেই দায় বর্তায়। এই এক বছরে ওই তরুণীকে যে হেনস্থা হতে হয়েছে, তার জন্য ৫০ হাজার এবং আইনি খরচ-খরচা বাবদ ১০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।