কলকাতা: করোনা মোকাবিলায় কলকাতায় বাড়ল কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৭ থেকে বেড়ে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা হয়েছে ২৬। এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সিল করা হয়েছে বেলেঘাটা চাউলপট্টির একটি এলাকা। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও কঠোর পুলিশ।
কনটেনমেন্ট জোন নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, কনটেনমেন্ট জোন বাড়িয়েও কাজ হচ্ছে না। করোনা মোকাবিলায় আরও কঠোর হওয়া দরকার। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞজের সঙ্গে কথা বলে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিক সরকার। পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করেই কন্টেনমেন্ট জোনে কড়াকড়ি বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। পাল্টা ফিরহাদ হাকিম।
সোমবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কলকাতায়। রাজ্যের ২২ হাজার ৯৮৭ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে কলকাতায় ৭ হাজার ৩৮৯ জন। রাজ্যে মৃত ৭৭৯ জনের মধ্যে কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৪২৮ জনের। অর্থাৎ রাজ্যে যতজন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে ৫৫ শতাংশই কলকাতার।
স্পেশাল অ্যাফেক্টেড জোন বা বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে কলকাতা পুরসভা। এই ১৯টি এলাকার তালিকা পুরসভার তরফে কলকাতা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার এই ১৯টি বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তালিকায় রয়েছে বাগবাজারের মারাঠা ব্রিজ সরণির কিছু অংশ, জাস্টিস চন্দ্রমাধব রোডের একাংশ ও পণ্ডিতিয়া রোড।