শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: নির্বাচন শেষ হয়েছে। ভোটের ফল প্রকাশও হয়ে গেছে প্রায় মাস তিনেক আগে। তবে এখনও রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত রয়েছে কোচবিহারে। আবারও শিরোনামে উঠে এল শীতলকুচির নাম। ২০২১-এর বিধানসভা ভোট চলাকালীন যে জায়গা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি।


এবার বৈঠক চলাকালীন বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে হামলা করার অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে মাথাভাঙার গোপালপুরে। শীতলকুচি বিধানসভার গোপালপুর এলাকায় দলীয় বৈঠক চলাকালীন হামলা চালানোর অভিযোগ বিজেপি বুথ সভাপতির বাড়িতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। 


আজ, মঙ্গলবার, গোপালপুর এলাকায় একটি কর্মিসভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক বরেন চন্দ্র বর্মনের। পদ্মশিবিরের অভিযোগ বিধায়ক সেখানে এসে পৌঁছনোর আগেই হামলা চালায় তৃণমূল কংগ্রেস। পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে যায় যে সেখানে গোলাগুলি ছোড়া হয়। এমনটাও অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। 


এরপর বিজেপি কর্মীরা বুথ সভাপতি জয়ন্ত বর্মনের বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা চালানো হয় বলে দাবি পদ্মকর্মীদের। শুধু তাই নয়, জয়ন্তবাবুর বাড়ির একাংশে ভাঙচুর চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি সভাপতির দাবি, তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে দু'রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। সমস্ত অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 


বিজেপি বুথ সভাপতি জয়ন্ত বর্মনের অভিযোগ, 'বিধায়ক এসে পৌঁছনোর আগেই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আমাকে হুমকিও দেওয়া হয়।' যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। গোপালপুর অঞ্চলের স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিভূতি বর্মনের পাল্টা অভিযোগ, 'শীতলকুচির বিধায়ক বরেন চন্দ্র বর্মন বাংলা ভাগের চক্রান্ত করতে মিটিং করছেন। তাই তৃণমূলের কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় পাহারা দিচ্ছে।' তাঁর দাবি কোথাও কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। উল্টে বিজেপি কর্মীরাই তৃণমূলের কর্মীদের দিকে তির ছুড়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।