শুভেন্দু ভট্টাচার্য ও দীপক ঘোষ, কোচবিহার : উত্তরবঙ্গে বিজেপিতে ভাঙনের মাঝেই এবার প্রকাশ্যে দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনা করলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। যা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


এক সপ্তাহে দল ছেড়েছেন ৩ বিজেপি বিধায়ক। সম্প্রতি তৃণমূলে ফেরেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। পাঁচ মাসের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। বিধানসভা ভোটের আগে, মার্চ মাসে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তন্ময় ঘোষ। যোগদানের পরের দিনই, তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। ভোটে জিতেও যান তিনি।


এর পর তৃণমূলে ফেরেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। এছাড়া শনিবার তৃণমূলে ফেরেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়। তাঁর হাতেও দলীয় পতাকা তুলে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। "সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের" জন্য সৌমেনবাবুকে ধন্যবাদ জানান তিনি। 


বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গে আরেক বিজেপি বিধায়ক, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণীও। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে এবার দলবদল নিয়ে প্রকাশ্যে দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনা করলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে।
 
তিনি বলেন, যদি, পুরনো বিজেপি কর্মীদের বিধানসভা ভোটে টিকিট দেওয়া হত, তাহলে এ’দিন দেখতে হত না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এমনভাবে বুঝিয়েছিলেন, যে বিষয়টি বোঝাই যায়নি। এরা সকলেই বিশ্বাসঘাতক। মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়বেন।


বিধানসভা ভোটের আগে মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে নেতা,...দলে দলে তৃণমূল শিবির ছেড়ে যোগ দিয়েছিল বিজেপিতে। তাঁদের অনেককেই প্রার্থীও করে বিজেপি। আর, বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জয়লাভের পর, এবার শুরু হয়েছে উল্টোস্রোত। এই অবস্থায় কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক যখন, তৃণমূল থেকে আসাদের কেন প্রার্থী করা হল, সেই প্রশ্ন তুলছেন, তখন পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী আগে কোন দলে ছিল, সেই প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল।


এনিয়ে কোচবিহারের তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায় বলেন, উনি যদি এতই সৎ হন, তাহলে বিরোধী দলনেতা তো তৃণমূল থেকে যাওয়া...তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করুক।


ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের শক্তঘাঁটি উত্তরবঙ্গেও ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। আর তা নিয়েই, এখন তোলপাড় বিজেপির অন্দরে।