নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার দক্ষিণ গোয়ার বিআইটিএস পিলানি ক্যাম্পাসে তার হোস্টেল কক্ষে ২০ বছর বয়সী এক ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। পুলিশ আধিকারিকের তরফে বলা হয়েছে, "সকাল ১০.৪৫ মিনিট নাগাদ ঋষি নায়ারকে তার হোস্টেলের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মোবাইল ফোনে কল করেও সাড়া না দেওয়ায় কর্তৃপক্ষ জোর করে তার ঘরের দরজা খুলে দেয়। বিছানায় নিথর অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা হচ্ছে"। 

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই ঘটনাগুলি তদন্তের জন্য কালেক্টরের অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। "এই ধরনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক এবং এর পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়। কালেক্টরের রিপোর্ট পাওয়ার পর রাজ্য সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।" বেসরকারি ডিমেড বিশ্ববিদ্যালয়, বিআইটিএস পিলানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এখনও এই ঘটনার বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এর আগে বিআইটিএস পিলানি’র গোয়া ক্যাম্পাসে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে তাঁরই হোস্টেলের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ১৬ আগস্ট সকালে এই ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনার জেরে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছাত্রটি স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। নিজের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় তিনি ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছেন। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ সম্পূর্ণ  ঘটনাটিকে একটি স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হয়। এরপর হোস্টেল থেকে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ভেরনা থানার পুলিশ ক্যাম্পাসে পৌঁছয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়। 

প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'ছাত্রটিকে বিছানায় পাশ ফিরে ঘুমানো অবস্থায় পাওয়া যায়। আগের রাতে সে ক্যাম্পাসে টেবিল টেনিস খেলেছিল এবং পরে নিজের রুমে ফিরে যায়। ঘরটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। শনিবার সকালে তাঁর দরজায় কোনও সাড়া না পাওয়ায় হোস্টেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ রবিবার ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।' 

গোটা বিআইটিএস গোয়া ক্যাম্পাসে গত নয় মাসে চতুর্থ ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে এর আগের তিনটি ঘটনা ছিল আত্মহত্যা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে ওই তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।