বালেশ্বর: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে শালিমার থেকে চেন্নাইগামী ট্রেনটি। বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের সঙ্গেও পাশাপাশি ধাক্কা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় ট্যুইট করেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। 


দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এদিন ট্যুইটারে অমিত শাহ লেখেন, 'ওড়িশার বালেশ্বরে যে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে তা সত্যিই যন্ত্রণাদায়ক। এনডিআরএফ টিম ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অন্যান্য দলও উদ্ধারকার্যে হাত লাগানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।'


জোরকদমে চলছে উদ্ধারকার্য। গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে বের করা হচ্ছে একের পর এক মৃতদেহ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশেপাশের সমস্ত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকেও।


২ টি নয়, পরপর ৩ টি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। শালিমার-হাওড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express Derailed) পাশাপাশি বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে একটি মালগাড়ি ও হাওড়া-বেঙ্গালুরু যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ট্রেনও লাইনচ্যুত হয়েছে।


যে কজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং যাত্রীরা দুর্ঘটনার পরে কথা বলতে পেরেছেন। তাঁরা সকলেই জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার কাছাকাছিই রয়েছে লোকালয়। ফলে দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রাই ঝাঁপিয়ে পড়েন উদ্ধারকাজে। প্রত্যক্ষদর্শী, যাত্রীদের কয়েকজন জানাচ্ছেন, স্থানীয় বাসিন্দারাই টর্চ হাতে এসে পৌঁছন ঘটনাস্থলে। তখন চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। কোথাও কিছু দেখা যাচ্ছিল না। লাইন উপড়ে এদিক ওদিক ছড়িয়ে রয়েছে পরপর বগি। মালগাড়ির উপর উঠে গিয়েছে করমন্ডল এক্সপ্রেসের কামরা। পাল্টি খেয়ে পড়ে রয়েছিল একাধিক কামরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ভিতর থেকে অনেকেই চিৎকার করছিলেন। তখনই উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্ধকারের মধ্যে হাতে টর্চ নিয়ে শুরু করা হয় উদ্ধারকাজ। তাঁরাই অনেককে ট্রেন থেকে বের করেন। যতটা পারেন সাহায্য করেন।


বেশ কিছুক্ষণ পরে হ্যালোজেনের ব্যবস্থা করা হয়। বাকি উদ্ধারকাজের সামগ্রী আনা হয়। এসে পৌঁছয় রেলের উদ্ধারকারী দল। পৌঁছয় অ্যাম্বুল্যান্স, গ্যাস কাটার আসে। গ্যাস কাটার দিয়ে কামরা কেটে বের করা হয় আটকে পড়াদের। উদ্ধার হয় দেহও। রাত দশটা পর্যন্ত শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেরই আশঙ্কা, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।