ওড়িশা: বালেশ্বর (Balasore) ৩টি ট্রেনের দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতর সংখ্যা হাজারের বেশি। পরিচয়হীন মৃতদেহের স্তূপ জমছে অস্থায়ী মর্গে। প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। ১৬০ জনের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। ভুবনেশ্বর এইমসে (Bhubaneswar) ১০০ জনের দেহ রাখা হয়েছে। পরিজনেদের কথা ভেবে মৃতদেহের ছবি তুলে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষার (DNA Test) জন্য নমুনাও সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে এখনও রয়েগিয়েছে বেশ কয়েকটি কামরা। সেগুলির মধ্যে আরও দেহ আটকে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না উদ্ধারকারীরা। যদিও উদ্ধারকারী দলের দাবি, অধিকাংশ দেহ এবং যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলি থেকে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ।  


অনেককে শনাক্ত করা যায়নি: বালেশ্বরে ট্রেন বিপর্যয়ে (Coromandel Train Accident) মৃত ও আহতদের অনেককে শনাক্ত করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশের জন্য আরও একটি হেল্প লাইন নম্বর চালু করল ওড়িশা প্রশাসন (Odisha Government)। হেল্প লাইন নম্বরটি হল, 1800-34-50061, এর পাশাপাশি, ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। https://srcodisha.nic.in, https://bmc.gov.in এবং https://osdma.org, এই ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে কোন হাসপাতালে কারা ভর্তি আছেন। মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্যেও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর, বাহানাগা স্কুলই হয়ে উঠেছে অস্থায়ী মর্গ। বিজনেস পার্ক হয়ে উঠেছে দেহ শনাক্তকরণ কেন্দ্র। অশনাক্ত দেহের ছবি তুলে রাখা হয়েছে টেবিলে। স্বজনহারারা সেখানেই খোঁজার চেষ্টা করছেন প্রিয়জনদের।


দেহ খুঁজছেন পরিজন: বালেশ্বরের হাসপাতালে হাসপাতালে প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন মালদার বামনগোলার ভোমরাইল গ্রামের বাসিন্দা নিত্যম রায়ের পরিজনেরা। আত্মীয় চন্দন রায়কে নিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য চেন্নাই যাচ্ছিলেন নিত্যম। চন্দনের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে। দুই পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের অসংরক্ষিত কামরায়। টিভি দেখে দুর্ঘটনার কথা জানতে পারেন পরিবারের সদস্যরা। নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে পৌঁছে যান দুর্ঘটনাস্থলে। চলছে প্রিয়জনের খোঁজ। 


বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় হাজারেরও বেশি আহত: এদের মধ্যে শতাধিক যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। বালেশ্বর, কটক ও ভুবনেশ্বরের বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসাধীন। ভুবনেশ্বর এইমসেও অনেকে ভর্তি রয়েছেন। আহতদের দেখতে দিল্লি এইমস থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দল মেডিক্যাল সরঞ্জাম নিয়ে ওড়িশায় পৌঁছেছে। দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার পাশাপাশি, বিভিন্ন হাসপাতালে যাচ্ছেন দিল্লি এইমসের চিকিৎসকরা।