Coromandel Express Accident: ২০০৯ সালের পর ২০২৩- ১৪ বছর পর ফিরল ভয়াবহ স্মৃতি। তবে এবার আতঙ্ক আরও বেশি। ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও অনেক বেশি। ২০০৯ সালে লাইনচ্যুত হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৩টি বগি। হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী ট্রেনের দুর্ঘটয়ায় মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১৬ জনের। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১৬১ জন। এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। ওড়িশার জজপুর জেলায় লাইন পরিবর্তন করার সময় লাইনচ্যুত হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৩টি বগি।
মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে ১৪ বছর। ফের লাইনচ্যুত হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক বগি। এবার শালিমার থেকে চেন্নাই যাওয়ার পথে ঘটেছে দুর্ঘটনা। ২ জুন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই ট্রেনের ১৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে বেলাইন হয়েছে বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেসের ৪টি কামরা। এর পাশাপাশি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছে মালগাড়ির ওপর। তিনটি ট্রেনের একসঙ্গে দুর্ঘটনায় এ যাবৎ মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৩৩ জনের, আহত ৯০০ জনেরও বেশি। মৃত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওড়িশার বালাসোরের কাছে বাহানগা স্টেশনে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এছাড়াও গিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন।
কী হয়েছিল ২০০৯ সালে
২০০৯ সালে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাও ছিল যথেষ্ট আতঙ্কের। তীব্র গতিতে ছুটছিল ট্রেন। জজপুর রোড রেল স্টেশন পার করে লাইন পরিবর্তনের সময়েই ঘটেছিল দুর্ঘটনা। লাইনচ্যুত হয়েছিল ১৩টি কামরা। এর মধ্যে ১১টি ছিল স্লিপার ক্লাস কোচ। আর বাকি দুটি ছিল জেনারেল বগি। অন্য লাইনে ছিটকে গিয়েছিল ট্রেনের ইঞ্জিন। ট্রেন থেকে ছিটকে যাওয়ার পর কার্যত একটা বগির উপর উঠে গিয়েছিল আর একটি বগি। ২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধে ৭টা ৩০মিনিট থেকে ৭টা ৪০মিনিটের মধ্যে ঘটেছিল এই দুর্ঘটনা।
এই দুর্ঘটনার পর দ্রুততার সঙ্গে শুরু হয়েছিল উদ্ধারকাজ। জজপুরের পাশাপাশি সংলগ্ন অন্যান্য জেলা থেকেও পাঠানো হয়েছিল মেডিক্যাল টিম এবং অ্যাম্বুল্যান্স। আহতদের দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। Odisha Disaster Rapid Action Force (ODRAF)- টিম যোগ দিয়েছিল উদ্ধার কাজে। সাহায্য নেওয়া হয়েছিল উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তির।
আরও পড়ুন- আমের পরে ঠান্ডাপানীয় খেলে সত্যিই বিপদ? না কি শুধুই রটনা?