নিউ দিল্লি : কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত জেরবার দেশ। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ নেই। এরই মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ 'অনিবার্য' বলে সতর্কবার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কে বিজয়রাঘবন। এজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। তবে কখন এটা ছড়াবে তা স্পষ্ট নয়। আমাদের নতুন ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। দ্বিতীয় দফায় অরিজিনাল ভাইরাসের মতোই এর স্ট্রেনগুলোও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এটা মানব শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে নিচ্ছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে হু হু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর প্রচুর চাপ বেড়েছে। দিল্লি, মুম্বই, লখনউ, বেঙ্গালুরু, আহমেদাবাদের মতো শহরগুলিতে তীব্র অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও(WHO)। আজ এক বিবৃতিতে তাদের তরফে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে যত সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ভারতের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আজকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে নতুন করে ৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৩১৫ জন করোনায় আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৭৮০ জনের। এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ২২৯। অন্যদিকে সুস্থতার হার ৮২.০৩ শতাংশ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষ গণ্ডি পেরিয়েছিল গত বছর ৭ আগস্ট, ২৩ আগস্ট ৩০ লক্ষর গণ্ডি, ৫ সেপ্টেম্বর ৪০ লক্ষ, ১৬ সেপ্টেম্বর ৫০ লক্ষ, ২৮ সেপ্টেম্বর ৬০ লক্ষ, ১১ অক্টোবর ৭০ লক্ষ, ২৯ অক্টোবর ৮০ লক্ষ, ২০ নভেম্বর ৯০ লক্ষর এবং ডিসেম্বরের ১৯ তারিখে ১ কোটির গণ্ডি ছাড়ায়। ২ কোটির গণ্ডি ছাড়ায় এবছর ৪ মে।
এদিকে ICMR সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২৯ কোটি ৪৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দেশে।