কলকাতা:  করোনা রোগীদের চিকিৎসায় গাফিলতির একাধিক অভিযোগ উঠল এনআরএসের বিরুদ্ধে। মৃত্যু হয়েছে ওই ২ করোনা রোগীর। 


বেলেঘাটার বাসিন্দা ৪৪ বছরের গোপা দাস ডায়েরিয়ার সমস্যা নিয়ে ২৮ এপ্রিল এনআরএসে ভর্তি হন। 


পরিবারের অভিযোগ, রক্তাল্পতায় ভোগা ওই রোগীকে রক্ত দিতে গড়িমসি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ সকালে ফোনে রোগীর মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়।


অন্যদিকে, বাগবাজারের বাসিন্দা ৬১ বছরের রাম মুখোপাধ্যায় বুকে ব্যথার কারণে মৌলালির স্টুডেন্ট হেলথ হোমে ভর্তি ছিলেন। 


পরিবারের দাবি, পরপর ২ বার করোনা পরীক্ষা করার পরও তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। অভিযোগ, গতকাল ফোনে জানানো হয় রিপোর্ট পজিটিভ আসায় ওই রোগীকে এনআরএসের কোভিড ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 


গতকাল রাতে ওই রোগীর মৃত্যু হলেও করোনা রিপোর্ট ও ডেথ সার্টিফিকেট দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ। 


ভিত্তিহীন অভিযোগ, পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ নথিবদ্ধ হয়নি, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।


এর আগে, গতমাসের ২৫ তারিখ, চিকিৎসার গাফিলতিতে করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে বেলঘরিয়ার মিডল্যান্ড নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। 


বনহুগলির বাসিন্দা কাকলি সরকার করোনা আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। পরিবারের অভিযোগ, অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে আজ সকালে ওই করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। 


বেলঘরিয়া থানায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


গড়ফায় বাড়ির সামনে করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ ফেলে পালাল অ্যাম্বুল্যান্স। মৃত্যুর পরে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে দেহ ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ কেপিসি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। 


যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এরকম কোনও রোগী হাসপাতালে আসেইনি। সম্ভবত কে এস রায় টিবি হাসপাতালে গিয়েছিল। 


রাজ্যে করোনায় দৈনিক মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের। উদ্বেগ বাড়িয়ে শুধুমাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৩৯ জন।