নিউ দিল্লি : গত মাসে করোনায় ৩৫ জনের বেশি অধ্যাপককে হারিয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। এমনটাই জানাল দিল্লি ইউনিভার্সিটি টিচারর্স ইউনিয়ন। ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক কলেজে অধ্যাপক ও ছাত্র-ছাত্রী মিলিয়ে অনন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
দিল্লি ইউনিভার্সিটি টিচারর্স ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট অলোক রঞ্জন পাণ্ডে বলেন, "অ্যাড হক বেসিসে যাঁরা কাজ করছিলেন, সেইসব শিক্ষকের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তাঁদের জন্যও যাতে চিকিৎসা পরিষেবা বাড়ানো যায় তার দাবি জানানো হয়েছে। এমন অনেক কলেজ রয়েছে, যেখানে তিনজন করে অধ্যাপক মারা গিয়েছেন।"
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কয়েকদিন আগে জেরবার অবস্থার ছবি দেখা গিয়েছে দিল্লিতে। অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতালে একের পর এক রোগীর মৃত্যু থেকে শুরু করে রেমডিসিভিরের কালোবাজারি...কত কী ! মাঝে দৈনন্দিন সংক্রমণের গ্রাফও বাড়তে থাকে। ফলে, হাসপাতালগুলিতে চাপ বাড়তে থাকে। অক্সিজেন ও বেডের অভাবে হাত তুলে নেয় কোনও কোনও হাসপাতাল। এই পরিস্থিতিতে বেডের খোঁজে একাধিক শিক্ষককে লুধিয়ানা ও ঝজ্জর পর্যন্ত যেতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেককে বাঁচানো যায়নি।
অলোক রঞ্জন পাণ্ডে জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের মতোই যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেত তাহলে অনেক প্রাণ বাঁচানো যেত।
এই পরিস্থিতিতে দিল্লি ইউনিভার্সিটি টিচারর্স ইউনিয়নের তরফে শিক্ষা মন্ত্রক ও ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে মৃতদের পরিবার থেকে অন্তত একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া অ্যাড হক টিচারদের মেডিক্যাল ফেসিলিটির কথা বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার অধ্যাপকের মধ্যে প্রায় ছয় হাজারকে অ্যাড হক ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে।
দিল্লিতে অবশ্য এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এপ্রিলের ৫ তারিখের পর একদিনে যা সবথেকে কম। মৃত্যু হয়েছে ৩৪০ জনের। পজিটিভ রেট নেমে এসেছে ৮.৪২ শতাংশে।