নয়াদিল্লি: মার্চ মাস থেকে দেশ জুড়ে জারি হয় লকডাউন। করোনার জেরে ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। কেন্দ্র স্কুল খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দিয়েছে রাজ্যগুলিকে। গাইডলাইন মেনে অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড ইতিমধ্যে স্কুল খুলেছে। মূলত, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ রাজ্য স্কুল খোলা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
কবে খুলবে স্কুল? কী ভাবছে রাজ্যগুলি?
দিল্লি- রাজধানীতে উত্তরোত্তর বাড়ছে সংক্রমণের হার। এই অবস্থায় স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। যতদিন পর্যন্ত না ভ্যাকসিন আসছে ততদিন স্কুল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। একইসঙ্গে কলেজ বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ- এখনই স্কুল খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের শিক্ষা দফতর সাফ জানিয়ে দিয়েছে, করোনা পর্বে স্কুল খুললে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত যাবতীয় গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। ২০২১ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাস কমানো হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
তামিলনাড়ু- মেডিক্যাল কলেজে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ৭ ডিসেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে। আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৬ নভেম্বর স্কুল খোলা হবে। তবে রাজ্য় সরকার পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। রাজ্যে এখনই খুলছে না স্কুল।
রাজস্থান- ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। বন্ধই থাকছে স্কুল এবং কলেজ।
ওড়িশা- ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে বন্ধ থাকবে স্কুল এবং কলেজ। বিবৃতি জারি করে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ বাদে কারিগরি, দক্ষতা সহ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
অন্ধ্রপ্রদেশ- ২ নভেম্বর রাজ্য়ে স্কুল খোলে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে ৫৭৫ জন পড়ুয়া এবং ৮২৯ জন শিক্ষক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
হরিয়ানা- ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্য সরকার স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৫০ জন পড়ুয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
হিমাচল প্রদেশ- রাজ্যের সরকারি স্কুল কলেজ বন্ধ থাকবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর আগে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ২৫ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে রাজ্য় সরকার।