নয়াদিল্লি: নোভেল করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত চিনের উহান। প্রায় ১৭টি শহর কার্যত গৃহবন্দি। আটকে ৫ কোটি মানুষ। যাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয়রাও। আটকে রয়েছেন বাঙালিরাও। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী উহানে আটকে রয়েছেন বর্ধমান ও বীরভূমের ২ গবেষক। এদের প্রত্যেককে দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপর কেন্দ্র সরকার। উহান থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ বিমানের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আজ জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর চিনা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিদেশ মন্ত্রক।
চিনের উহানে ‘বন্দি’ বর্ধমানের গবেষক সাম্য কুমার রায় এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন, ভারতীয় দূতাবাস তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে চিন থেকে দেশে ফিরে আসা নিয়ে এখনও পাকাপাকি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
চিনের কমিউনিস্ট সরকারের তরফে কী ধরনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে? উত্তরে সাম্য জানিয়েছেন, চিনা সরকার প্রত্যেককে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বারবার করে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বর্ধমানের এই গবেষক আরও জানিয়েছেন, “উহান শহর পুরোপুরি ভাবে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে কেউ এই শহরে ঢুকতে পারছে না। যোগাযোগ পরিষেবাও একেবারে বন্ধ। কোনও বাস বা গাড়িঘোড়া রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না।”
উহানের এই অবস্থার কথা শুনে চিন্তিত গবেষক সাম্য কুমার রায়ের মা। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা আগে জানা থাকলে ছেলে চিনে যেতোই না, এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন সাম্যর মা। তাঁর ভয়, ছেলের না ভাইরাস সংক্রমণ হয়!
সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, গতকাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৩৭টি বিমানের ২৯ হাজার ৭০৭ জন যাত্রীকে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২জন-কে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়। তবে এদের মধ্যে কোনও বিমানযাত্রীই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নয় বলেই জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চিন থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও। গুজরাত থেকে প্রায় একশো জন শিক্ষার্থী চিনে পড়তে গিয়েছে। তাঁদের চিকিৎসাজনিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিদেশমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন রূপানি।