কলকাতা: হায়দরাবাদ থেকে আজ রাজ্যে এল ৭৫ হাজার কোভ্যাকসিন। সকাল ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। বিমানবন্দর থেকে ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা টিকা নিয়ে যাওয়া হয় বাগবাজারের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে। সেখান থেকেই শুরু হবে বণ্টন।


এর আগে গত ৯ মে রাজ্যে পৌঁছয় ১ লক্ষ কোভ্যাকসিন। আজ সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর এই ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হবে বাগবাজারের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড এই দু’ রকম ভ্যাকসিনের বরাত দেয়। সেই অনুযায়ী কেন্দ্র ১ লক্ষ কোভ্যাকসিনের পাঠায়। তার আগে ৫ মে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রের পাঠানো ৫ লক্ষ ডোজ।


উল্লেখ্য, ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ওপর, পরীক্ষামূলকভাবে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ভারত বায়োটেককে অনুমতি দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।  ৫২৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর প্রয়োগ করা হবে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন। ট্রায়ালে প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।


গত ৬ দিন ধরে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ সাড়ে ৩ লক্ষের আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। শুধুমাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২৬ হাজার জন। এরইসঙ্গে দেশজুড়ে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। একদিনে ভারতে ফের মৃত্যু হল প্রায় চার হাজার জনের। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের চাহিদাও দিনে দিনে বাড়ছে। সাধারণ মানুষ ভ্যাকসিন নিতে উদগ্রীব। কিন্তু, পর্যাপ্ত যোগানের অভাব। তার জেরেই রাজ্যে, রাজ্যে, জেলায় জেলায় চরম হয়রানি।


গতকাল, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ক্ষেত্রে দুর্ভোগের ছবি ধরা পড়েছে হুগলির গোঘাট ও কামারপুকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গোঘাটে ভ্যাকসিন নিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে লাইন দেন গ্রাহকরা। এদিন সকালে গিয়ে দেখা যায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গেট ছাড়িয়ে আরামবাগ-মেদিনীপুর রাজ্য সড়কের ধারে প্রায় ১ কিলোমিটার ধরে রাস্তার পাশে বসে রয়েছেন ভ্যাকসিন গ্রাহকরা।