ভোপাল: হাসপাতালে করোনা রোগীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল এক ওয়ার্ড বয়কে। ঘটনার দিন রাতেই মৃত্যু হয়েছে রোগীর। ১ মাস আগে ঘটনাটি ঘটেছিল ভোপাল মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং রিসার্চ সেন্টারে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তারপরেই খবর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।


জানা গিয়েছে, গত ৬ এপ্রিল ভোপালের এই হাসপাতালে ভর্তি হন ওই রোগী। তিনি নিজেই এক চিকিৎসকের কাছে বিবৃতি দিয়ে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, এই দিন ঘটনার পর হঠাৎই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় এবং ওইদিন রাতের দিকেই তাঁর মৃত্যু হয়।


ঘটনায় নিশাতপুরা পুলিস স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত ওয়ার্ড বয় বছর ৪০-এর সন্তোষ আহিরওয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে ভোপাল সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়েছে। 


পুলিস আধিকারিক ইরশাদ ওয়ালি জানিয়েছেন, ওই রোগী পুলিসকে বয়ান রেকর্ড করান। তবে তাঁর পরিচয় গোপন রাখার পাশাপাশি ঘটনা প্রকাশ না করারও অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই কারণেই তদন্তকারী দল ছাড়া আর কারওকেই এই ঘটনা জানানো হয়নি। 


হাসপাতাল সূত্রে খবর, এর আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এক ২৪ বছর বয়সী কর্মীকে হেনস্থা করেছিল অভিযুক্ত। পাশাপাশি ডিউটির সময়ে মদ্যপান করায় বেশ কিছুদিনের জন্য তাঁকে সাসপেন্ডও করে দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের ২ ডিসেম্বর ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন ওই মহিলা। এই দুর্ঘটনায় জীবিতদের অধিকার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের করুণ পরিস্থিতির বিরোধিতা করে একটি চিঠি জমা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, 'হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই জঘন্য ও অপরাধমূলক কাজকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সেই কারণেই ধর্ষিতার পরিবারকেও ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। 


উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৪-র গ্যাস দুর্ঘটনার কবলে যাঁরা পড়েছিলেন এবং বেঁচে ফিরেছেন, তাঁদের মধ্যে করোনায় মৃত্যুহার অন্যদের তুলনায় সাড়ে ছ-গুণ বেশি।