কলকাতা: কোচবিহারের পর এবার নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আজই সেখানে যাবেন তিনি। এদিন সকালেই বিএসএফের কপ্টারে নন্দীগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নন্দীগ্রাম বাজারে, বঙ্কিম মোড়, কেন্দামারিতে যাবেন জগদীপ ধনকড়। নন্দীগ্রামের চিল্লগ্রাম, টাউন গ্রামেও যাবেন তিনি। এলাকা পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল যাবেন জানকীনাথ মন্দিরে। 


ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে আগেই কোচবিহারে গিয়েছেন ধনকড়। এবার তাঁর গন্তব্য নন্দীগ্রাম। রাজ্যের বিধানসভা ভোটে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। ভোটের পর নন্দীগ্রামে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের এই সফর নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছ বিজেপি।  বিজেপি বলেছে, সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা পালন করছেন রাজ্যপাল। পাল্টা রাজ্যপালকে নিশানা করেছে তৃণমূল। শাসক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারি অর্থে রাজ্যে উস্কানি ছড়াচ্ছেন রাজ্যপাল।  দেশের কোনও রাজ্যপাল এমন করেননি। সাংবিধানিক রীতিনীতি ভঙ্গ করছেন। বিজেপির এজেন্ট হয়ে নেমেছেন।


উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার কোচবিহারে যান রাজ্যপাল। মাথাভাঙা, শীতলকুচি, দিনহাটা থেকে সিতাই। বিজেপির তোলা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার বিজেপির নেতাদের সঙ্গে কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। দিনহাটায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় পৌঁছতেই শুরু হয় গোব্যাক স্লোগান। একদল লোক জড়ো হয়ে টানা গোব্যাক স্লোগান তোলেন। সঙ্গে 'বিজেপির-রাজ্যপাল' বলেও স্লোগান দেন তাঁরা। যে ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকার পরিস্থিতি। ঘটনাস্থলে কিছুক্ষণের মধ্যে দিনহাটা থানার আইসি এসে পৌঁছলে তাঁকে ধমকও দেন রাজ্যপাল।


এদিকে কোচবিহারে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের অনেকে পাশের রাজ্য অসমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ। শুক্রবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে, রাঙ্গাপোলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিবিরে যান জগদীপ ধনকড়। এরপরই ট্যুইটারে রাজ্যপাল লেখেন,  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ, সংঘাতের পথ ছেড়ে সহযোগিতামূলক ও সাংবিধানিক অবস্থান গ্রহণ করুন। এতেই গণতন্ত্রের বিকাশ হবে।  আইনের শাসন জোরদার করুন এবং মানুষের স্বার্থে কাজ করুন। আরেকটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, কোচবিহারে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার কারও কাছ থেকে সাড়া পাইনি, যেটা IAS কিংবা IPS অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের থেকে আশা করা যায় না। অথচ, অসমের রাঙ্গাপোলিতে প্রোটোকল মেনে, ডিভিশনাল কমিশনার, স্পেশাল ডিজিপি, ডিএম এবং পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।