তবে চিনা কোম্পানির লেটারহেডে ‘ভ্যাকসিন স্টেটমেন্ট’ শিরোনামে বলা হয়েছে, ৪৮ জন চিনা কর্মীর দেহে গত ১০ আগস্ট সার্স-কোভ-২ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। বিবৃতিটি পাপুয়া নিউগিনির স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হয়েছে, বলা হয়েছে যে, ভ্যাকসিনটি যারা নেবে, তাদের মধ্যে টেস্টের ফল ফলস-পজিটিভ হতে পারে।
ম্যানিং ইতিমধ্য়ে দেশে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত জু বিংয়ের কাছে লিখিত ভাবে অবিলম্বে ভ্যাকসিন বিবৃতি নিয়ে চিন সরকারের অবস্থানের ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রামু কোম্পানিটি চালায় চিনের সরকারি মালিকানাধীন চায়না মেটালার্জিকাল গ্রুপ কর্পোরেশনের অধীনস্থ মেটালার্জিকাল কর্পোরেশন অব চায়না।
সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার পর পাপুয়া নিউগিনির নিকটতম প্রতিবেশী ও তাদের সবচেয়ে বড় বিদেশি ত্রাণ সরবরাহকারী অস্ট্রেলিয়া জানতে পেরেছিল যে, চিন ওই এলাকায় সরকারি মালিকানাধীন সংস্থার কর্মীদের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে কাজে লাগাতে পারে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের অফিসাররা কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য দেননি।
পাপুয়া নিউগিনি ৯০ লক্ষ লোকের দেশ। গরিব দেশটির বাসিন্দাদের বেশিরভাগই কৃষক। এপর্যন্ত সেদেশে ৩৬১টি কোভিড সংক্রমণের খবর মিলেছে, মৃত্যু হয়েছে চারজনের। যদিও গত মাসে সংক্রমণ বাড়ে, বিশেষত রাজধানী পোর্ট মর্সবিতে। অতিমারী রোধে সেখানে কার্ফু জারি করা হয়েছে।