নয়াদিল্লি: ভারতকে ১০ কোটি ডোজ স্পুতনিক-ভি ভ্যাকসিন দিচ্ছে রাশিয়া। ভারতের রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের সম্মতি পেলেই তারা ভারতের ডঃ রেড্ডি ল্যাবরেটরিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ওই ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার সোভারেন ওয়েলথ ফান্ড।
ট্রায়াল শুরুর মাত্র ২ মাসের মধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করে, গোটা বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিল রাশিয়া। যদিও তাড়াহুড়ো করে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সেই বিতর্কের মধ্যেই, এবার রাশিয়ায় তৈরির সেই ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি আসতে চলেছে ভারতেও। অক্টোবরের শেষেই দেশে আসতে চলেছে তা। পাশাপাশি সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়াও ফের অক্সফোর্ড-ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করার অনুমতি পেয়েছে।
স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনের গবেষণায় অর্থ ঢেলেছে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। তাঁরাই ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ডক্টর রেড্ডি ল্যাবরেটরির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি উদ্ধৃত করে স্পুটনিক জানিয়েছে, ভারতে স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং বাজারে আনার জন্য আন্তর্জাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ডক্টর রেড্ডি ল্যাবরেটরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ফান্ড। ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি পেলেই, ডক্টর রেড্ডিকে ১০ কোটি ডোজ পাঠাবে তারা। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২০-র শেষের দিকেই ভারতে পাঠানো হবে এই ভ্যাকসিন।

এদিকে ডক্টর রেড্ডির কো-চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর জিভি প্রসাদ জানিয়েছেন, স্পুটনিক-ভির প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ভাল ফল মিলেছে। ভারতীয় নিয়ন্ত্রকদের অনুমতি পেতে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল পরিচালনা করবে ফান্ড।
দৌড়ে ছিল আমেরিকা, ইংল্যান্ড, চিন, জার্মানির মতো দেশ। কিন্তু, সবাইকে তাক লাগিয়ে প্রথম করোনা-ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করেছে রাশিয়া। রুশ সংবাদ সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছিল, ১৮ জুন ৩৮ জনের উপর এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়। এর দু মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে বলে দাবি করায়, গোটা বিশ্বে প্রশ্নের মুখে পড়ে রাশিয়া। কিন্তু সেই ভ্যকসিন ভারতে আসা কতটা নিরাপদ? আপত্তি তুলে রুশ ভ্যাকসিন নিতে রাজি হয়নি আমেরিকাও। তাহলের কি ভারত সরকারেরও বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার?