মেরঠ: তাঁর জীবন যেন সিনেমার চিত্রনাট্য। বিয়ে করতে না চেয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন। তারপর সবটাই তাঁর একার লড়াই। স্বপ্নপূরণের লড়াই। অদম্য জেদ বজায় রেখে সফল হওয়ার লড়াই। তিনি উত্তরপ্রদেশের মেরঠের বাসিন্দা সঞ্জু রানি ভার্মা।
আর পাঁচজনের মতো সঞ্জু রানি ভার্মা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। মায়ের মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজনও তাঁকে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে বিয়ে করে সংসার করার পরামর্শ দেন।
কিন্তু সঞ্জু রাজি ছিলেন না। শুরু হয় চাপাচাপি। কিন্তু বরাবরই নিজের পায়ে দাঁড়াতে, স্বপ্ন দেখতে ভালবাসতেন উত্তরপ্রদেশের মেরঠের সঞ্জু রানি ভার্মা। বাড়ির লোককে তাঁর ইচ্ছের কথা বুঝিয়ে বলেন সঞ্জু। কিন্তু সেসবে আমলই দিতে চাননি পরিবারের লোকজন।
এরপর ২০১৩ সালে বাড়ি ছাড়েন সঞ্জু। এসে ওঠেন দিল্লিতে। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার জন্য তৈরি হতে শুরু করেন। শুনতে যতটা সহজ লাগছে, কাজে ততটাই কঠিন।
সঞ্জু রানি ভার্মার কথায়, ’’২০১৩ সালে শুধু বাড়ি ছাড়িনি, পড়াশোনাও ছেড়ে দিতে হয়। কারণ আমার কাছে টাকা ছিল না। তখন আমি বাচ্চাদের পড়াতে শুরু করি। একটি বেসরকারি স্কুলে আংশিক সময়ের শিক্ষিকার কাজ পাই। তাই দিয়ে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করি।‘‘
মেরঠের আর জি ডিগ্রি কলেজে গ্র্যাজুয়েশন করার পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর হন। আজ তিনি উত্তরপ্রদেশ প্রভিন্সিয়াল সিভিল সার্ভিস এগজামিনেশন ২০১৮ উত্তীর্ণ হয়ে অফিসার হতে চলেছেন। এই পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়েছে। সম্ভবত উত্তরপ্রদেশের কমার্শিয়াল ট্যাক্স অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেবেন তিনি।
তবে এখানেই থামতে চান না সঞ্জু। আরও পড়াশোনা করতে চান। ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসতে চান তিনি। জেলাশাসক হতে চান সঞ্জু রানি ভার্মা।