নয়াদিল্লি: জনসন এন্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী। এমনটাই দাবি সংস্থার। সংস্থা জানিয়েছে, ৮ ভ্যাকসিন গ্রহীতার থেকে রক্তের নমুনা নেওয়া হয়। দেখা গিয়েছে অন্তত ৮ মাস ধরে ভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এই ভ্যাকসিন। যার মধ্যে রয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টও। যার প্রথম হদিশ মেলে ভারতে।
জনসন এন্ড জনসনের এক্সকিউটিভ কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সারা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে জনসন। আমাদের তৈরি সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন যে কোনও ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম। সংস্থার দাবি এই ভ্যাকসিন কোনও কঠিন রোগ সহ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৮৫ শতাংশ কার্যকরী বলে দাবি সংস্থার।
ভ্যাকসিন নেওয়ার ২৯ দিন পর থেকেই কাজ করা শুরু করে বলে দাবি জনসন কর্তৃপক্ষের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কার্যকারিতা বাড়ে বলেও দাবি করেছে সংস্থা। জনসন এন্ড জনসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রায় সব দেশে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিল। যেখানে ভাইরাসের বিটা, জিটার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। জনসন এন্ড জনসনের সংক্রামক রোগ এবং টিকা বিভাগের প্রধান জোহান ভ্যান হফ জানিয়েছেন, আমরা খুব খুশি এবং আত্মবিশ্বাসী যে বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী এই ভ্যাকসিন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ত্রাস দেখিয়েছে। রয়েছে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কাও। তথ্য তুলে ধরে জোহান ভ্যান হফ বলেন, আমার আশি করছি যাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তাঁদের এক বছরের মধ্যে বুস্টারের প্রয়োজন পড়ে না। উল্লেখ্য, সংস্থা জানিয়েছে, ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে গত সপ্তাহে ভারত সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভারতে সংস্থার মুখপাত্র বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছি। কীভাবে সিঙ্গল ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে তার সম্ভাব্য উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।