কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের নিরাপত্তা রক্ষী। অরবিন্দ বৈদ্য ওরফে মিঠুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত চারদিন ধরে দফায় দফায় লালবাজারে ডেকে অরবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিভ্রান্তিকর বয়ান দিচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। ষড়যন্ত্র ও অপরাধে সাহায্যের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার যে সব অভিযোগ উঠেছে, তার কয়েকটিতে ওই নিরাপত্তারক্ষীও যুক্ত থাকতে পারেন।
ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনকাণ্ডে এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের দেহরক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যের রাজভবন-যোগের অভিযোগে গতকালই সরব হয়েছে তৃণমূল। একটি ছবি দেখিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের দাবি, ওই দেহরক্ষীর মাধ্যমে বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে খাম ও উপহার পাঠানো হত। এ নিয়ে তদন্ত চেয়েছে তৃণমূল। তবে এখনও রাজ্যপাল বা রাজভবনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই বিতর্কের আবহেই এবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীকেও গ্রেফতার করল পুলিশ।
সংঘাতের সুর চড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় একটি ছবি সামনে এনেছেন। ছবি প্রকাশ্যে এনে তৃণমূল সাংসদের দাবি, রাজভবনে রাজ্যপালের ঠিক পিছনেই, যিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তিনি ভুয়ো আইএএস অফিসারের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী অরবিন্দ বৈদ্য। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “শোনা যাচ্ছে এই সিকিওরিটির মাধ্যমে কোও বিশেষ ব্যক্তির কাছে মাঝেমধ্যে খামটাম যেত, উপহার যেত, যারা তদন্ত করছে, তাদের গোচরে আনব বিষয়টি, যদি কোনও যোগসাজশ পাওয়া যায় তাহলে দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর, আমরা সিটকে বলব।“
ভুয়ো ভ্যাকসিন। জাল সরকারি স্ট্যাম্প। কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করা। ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটেই এবার দেবাঞ্জনের টাকার উৎস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এখনও অবধি দেবাঞ্জনের ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কেই ৩টি অ্যাকাউন্ট ছিল দেবাঞ্জনের। ওই ব্যাঙ্কেই কলকাতা পুরসভার নামে খোলা কারেন্ট অ্যাকাউন্টও খোলা হয়। ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কাছে ইতিমধ্যেই নথি চেয়ে পাঠিয়েছে লালবাজার। বেশ কিছু নথি ব্যাঙ্কের তরফেও জমাও দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।