ঝিলম করঞ্জাই, সুনীত হালদার ও অমিতাভ রথ : পার্ক স্ট্রিট হয়ে ধর্মতলা রুটে না গিয়ে সোজা গতি বাড়িয়ে রেড রোডে ঢুকেছিল মিনিবাস, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। কীভাবে নজর এড়িয়ে বেআইনিভাবে রেড রোডে ঢুকল বাস, উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে, ছেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন পুলিশকর্মীর পরিজনরা।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির রুট ছিল মেটিয়াবুরুজ থেকে হাওড়া। হিসেব মতো, ফোর্ট উইলিয়ামের ইস্ট গেটের উল্টো দিক থেকে টার্ন নিয়ে পার্ক স্ট্রিট হয়ে হাওড়ার দিকে যাওয়ার কথা। কিন্তু, পার্ক স্ট্রিট হয়ে ধর্মতলা রুটে না গিয়ে, সোজা গতি বাড়িয়ে রেড রোডে ঢুকে যায় মিনিবাসটি। এমনই দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
করোনা আবহে, দেড় মাস বন্ধ থাকার পর, রাস্তায় বাস নামার প্রথম দিনই রেড রোডে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল এক পুলিশকর্মীর। নিয়মের তোয়াক্কা না করে লাগামহীন গতির জেরেই কি প্রাণ দিতে হল উর্দিধারীকে? উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রে খবর, রেড রোডে বাস চলাচলের কথাই নয়। তবে, কীভাবে ট্রাফিক গার্ডদের নজর এড়িয়ে বাসটি ঢুকেছিল এই পথে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। কিন্তু, তা কেড়ে নিয়েছে এক তরতাজা পুলিশ কর্মীর প্রাণ। মাত্র ৬ বছর বয়সেই, বাবাকে হারাল ছেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় মৃত পুলিশকর্মী বিবেকানন্দ ডাবের বাড়ি ঝাড়গ্রামে। সেখানে রয়েছেন তাঁর মা-বাবা, দিদি। কাজের সূত্রে হাওড়ার ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি। এদিন ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই অঝোরে কেঁদে চলেছেন তাঁর দিদি।
পুলিশকর্মীর এভাবে চলে যাওয়া মানতে পারছেন না তাঁর বন্ধু-সহকর্মীরা। মৃতের সহকর্মী সুনীত সুদীপ বিশ্বাস বলেন, এলেই গল্প করতে আসত। অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন বাসের ১৮ জন যাত্রী। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএমে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনায় কারোর ভেঙেছে হাত, কারোর ফেটেছে কপাল। আহতদের দেখতে গতকাল হাসপাতালে যান ফিরহাদ হাকিম।