ঢাকা : ভারত থেকে ভ্যাকসিন পেতে অনিশ্চয়তার জের ! এবার চিনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিল বাংলাদেশ। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের ড্রাগ রেগুলেটর অথরিটি। আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যেই 'বন্ধু দেশে' পৌঁছে যাবে চিনের ভ্যাকসিন।
ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তায় কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। যার জেরে আরও দ্রুত দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে মোদি সরকার। ১ মে থেকে ১৮-৪৪ বছরের ব্যক্তিদেরও কোভিড টিকা দেওয়া হবে। ফলে বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিনের। যার জেরে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন রফতানি বন্ধ করেছে ভারত। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা না পেয়ে তাই চিনের ভ্যাকসিনকেই অনুমতি দিয়েছে হাসিনার সরকার।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ ড্রাগ অথরিটির প্রধান মাহবুবুর রহমান জানান, সিনোফার্মের ৫,০০,০০০ ভ্যাকসিনের ডোজ আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে। এখানেই শেষ নয়। চিনের পাশাপাশি রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনকেও ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ অথরিটি। আগামী দিনে বাংলাদেশেই চিনের সিনোফার্ম ও রাশিয়ার স্পুটনিক ভি টিকা তৈরি করতে চান তাঁরা। রহমান জানিয়েছেন, এ বিষয়ে দুই দেশের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে।
চিনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিন নিয়ে এখনও ছাড়পত্র দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তবে চলতি সপ্তাহেই জরুরি পরিস্থিতিতে এই ভ্যাকসিনকে সবুজ সংকেত দিতে পারে সংস্থা। এখনও সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে কোনও প্রামাণ্য নথি প্রকাশ করেনি বেজিং বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস ইনস্টিটিউট। এ বিষয়ে সিনোফার্ম-এর অধীনস্থ সংস্থা চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ-এর দাবি, কোভিড প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ৭৯.৩৪ শতাংশ কার্যকরী এই ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যেই চিন, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ফেব্রুয়ারি থেকেই কোভিড টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম থেকেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভরশীল ছিল হাসিনার সরকার। ইতিমধ্যেই দেশের ৬০ লক্ষ মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দিতে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকার হাতে ৩ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার কথা সিরামের। এখনও পর্যন্ত ৭০ লক্ষ ভ্যাকসিন পেয়েছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে বাংলাদেশেকে ৩২ লক্ষ ভ্যাকসিন উপহার হিসাবে দিয়েছে ভরত সরকার।