নয়াদিল্লি: ব্রিটেনে হদিশ মিলেছে ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের। অন্য স্ট্রেনের থেকে যা অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে আবিষ্কার হওয়া টীকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করবে। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে বিশ্ববাসী। কিন্তু আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যত দিন যাবে তত নতুন স্ট্রেন উৎপন্ন করবে ভাইরাস। অর্থাৎ মিউটেশন করতেই থাকবে ভাইরাস।

লন্ডনের এক গবেষক জেরেমি ফারার জানান, নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। ভ্যাকসিনও এর বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিস প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল জানিয়েছে, মানুষের শরীরে ঢুকে স্পাইক প্রোটিন তৈরি করছে। বিবৃতি জারি করে তারা জানিয়েছে, ভাইরাসের পরিবর্তন হওয়ার করার ক্ষমতা ০.৪ শতাশ। আক্রমণ করার ক্ষমতা অন্য স্ট্রেনের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি।

শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপক সেহগাল জানান, ১৩ রকমের চরিত্র বদল করতে পারে বা মিউটেশন হতে পারে। বিশ্বের ৩ ভ্যাকসিন মোডের্না, ফাইজার, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকা নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। তবে চরিত্র বদল করতে থাকলে ভ্যাকসিন পরিবর্তনেরও প্রয়োজন হতে পারে। একটা সময়ের ঋতু ভিত্তিক ফ্লুয়ের মতে হয়ে যাবে। ভাইরোলজিস্ট উপসনা রায় বলেন, ভাইরাসের এই পরিবর্তন বর্তমান করোনা ভ্যাকসিনের উপর প্রভাব ফেলবে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এতে মৃত্যুহার বাড়বে কি না তারও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। স্পাইক প্রোটিনের মিউটেশনের জন্য সহজেই মানব কোষে প্রবেশ করতে পারবে।

ব্রিটেন থেকে ইতালিতে ফেরা এক ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এই স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে। সেহগাল বলেন, এই অবস্থায় প্রত্যেকের পরীক্ষা করানো উচিত সব দেশের। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম এই স্ট্রেন পাওয়া যায় ব্রিটেনে। নভেম্বর মাসে বেশ লন্ডনের বেশ কয়েকজন সংক্রমিত হন। এমাসে লন্ডনের মোট আক্রান্তের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ আক্রান্ত হয়েছেন এই স্ট্রেনে।