হায়দরাবাদ : চিনে আতঙ্ক (Panic in China) ধরিয়েছে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট (Covid New Variant) BF.7। কিন্তু, ভারতও কি একই রকম সমস্যায় পড়তে পারে ? এই প্রশ্নই কার্যত এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতীয়দের মনে। এব্যাপারে এবার আশ্বস্ত করলেন CSIR-সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক। তাঁর মতে, BF.7 ভ্যারিয়েন্টের চিনে যে গুরুতর অবস্থা হয়েছে তা ভারতে হবে না। কারণ, ভারতীয়রা ইতিমধ্যেই হার্ড ইমিউনিটি গড়ে ফেলেছে।
কী বলছেন CCMB-র অধিকর্তা ?
তবে, কোভিড বিধি মেনে চলার উপর জোর দিয়েছেন CCMB-র অধিকর্তা বিনয় কে নন্দীকুরি। তিনি বলছেন, যে কোনও রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ভ্যারিয়েন্টগুলির। এমনকী যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদেরও সংক্রমিত করার ক্ষমতা রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তিনি আরও বলেছেন, ডেল্টায় যে গুরুতর অবস্থা হয়েছিল, তার মতো পরিস্থিতি হবে না। কারণ, আমাদের হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠেছে। আমাদের হার্ড ইমিউনিটি আছে, কারণ আমরা অন্যান্য ভাইরাসের মুখে উন্মুক্ত রয়েছি। আমরা ডেল্টা ঢেউ দেখেছি, যেটা বিশাল ছিল। তারপরে আমরা টিকা নিই। তার পরে এল ওমিক্রন ঢেউ। আমরা বুস্টার ডোজ নিতে শুরু করি। আমরা একাধিক কারণে ভিন্ন। সেই কারণেই চিনে যা হয়েছে তা ভারতে হবে না।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রের খবর, ভারতে ২০১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৯৭ জন।
নতুন করে চিনে বাড়ছে করোনা, রবিবার থেকেই নতুন সিদ্ধান্ত। চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন কোভিড ডেটা প্রকাশ বন্ধ করল। গোপন করা হচ্ছে করোনা সংক্রমণের তথ্য। ভারতজুড়েও জারি হয়েছে সতর্কতা। বিমানবন্দরে চলছে নজরদারি। বিদেশ থেকে ভারতে আসতে আরটিপিসিআর রিপোর্ট দেখাতে হবে যাত্রীকে। চিনের কোভিড উদ্বেগের প্রভাব পড়ল ভারতে, রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র। সরকারের তরফে রাজ্যগুলিকে কোভিডের 'মক ড্রিল' করতে বলা হয়েছে। হাসপাতালগুলিকে কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি বুস্টার ডোজ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও অনেক জায়গাতেই উঠছে, ভ্যাকসিন না পাওয়ার অভিযোগ।
আরও পড়ুন ; দিতে-নিতে সুবিধা, খাতায়-কলমে সহজ কিন্তু কার্যকরী ক্ষেত্রে কী সমস্যা নেজাল ভ্যাকসিনে ?