কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের এক শীর্ষ আমলার ছেলে।  এই পরিস্থিতিতে নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে চূড়ান্ত সতর্ক রাজ্যের অন্য মন্ত্রী-আমলারাও।
প্রতিদিন প্রচুর মানুষ বিভিন্ন কাজে শিক্ষামন্ত্রীর দেখা করার জন্য আসেন। কিন্তু করোনা সতর্কতার জেরে সেই চেনা ছবিটাই আজ উধাও। বুধবার তাঁর নাকতলার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ছাড়া আর কোনও সাধারণ মানুষ সেখানে নেই।
বাড়িতে ঢুকলেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে এগিয়ে আসছেন এক কর্মী। শিক্ষামন্ত্রীর মেয়ে আমেরিকায় থাকেন। সূত্রের খবর, তিনিও বাবাকে এই পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু রাজনীতিবিদদের কি আর ঘরে বসে থাকলে চলে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই বৈঠকে ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তীও।  যিনি বুধবার থেকে স্বামী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হোম কোয়ারেন্টিনে।
রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও করোনা সতর্কতায় গোটা দিন কাটাচ্ছেন কার্যালয়ের ভিতরে। বুধবার বিজয়গড়ে গিয়ে দেখা গেল অন্যদিনের চেনা ভিড় উধাও! মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তো মাস্ট, এমনকি স্যানিটাইজ করা হচ্ছে সাক্ষাত্‍প্রার্থীর মোবাইলকেও। ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, সচেতন তো হতে হবে। প্রণাম নিচ্ছি না। সভা করছি না। আক্রান্তের মায়ের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি জানান, -কেউ কেউ এরকম করছেন এটা ঠিক নয়।
ভবানীপুরে রাজ্যের বিদ্যুত্‍মন্ত্রীর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রতিদিন অবাধ প্রবেশ থাকে সাধারণ মানুষের। এদিন গিয়ে দেখা গেল বহিরাগতদের প্রবেশ কার্যত নিষিদ্ধ হয়েছে। মুখোশ পরে বসে খোদ মন্ত্রী। তিনি বলেন, তুমি তো জান আমার বাড়ি অবারিত। সভায় গেলেও ৫-১০ মিনিটের বেশি থাকছি না।
পুরভোট পিছিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক কর্মসূচি আপাতত শিকেয়। তাই এই করোনা আবহে সকলেই নিচ্ছেন বাড়তি সতর্কতা।