কলকাতা: নোভেল করোনাভাইরাস কীভাবে হু হু করে ছড়াচ্ছে, তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। যেখানে দাবি করা হয়েছে এতটাই দ্রুত ছড়াতে পারে করোনা সংক্রমণ।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, শুধু ছুঁলেই যে করোনা সংক্রমণ ছড়াবে, এমন নয়। তা ছড়াতে পারে থুতুর ছিটে অথবা লালারস থেকে। এমনকী, কথা বলার সময় আমাদের মুখ থেকে যে থুতু বেরোয়, তার থেকেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ।
এই প্রেক্ষাপটে শহরে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলার পর থেকে রীতিমতো উদ্বেগে আছেন বাইপাসের ধারের একটি আবাসনের বাসিন্দারা। কারণ, ওই অভিজাত আবাসনেই থাকে করোনা আক্রান্ত তরুণের পরিবার।
গত ১৫ তারিখ লন্ডন থেকে ফিরেও ১৭ তারিখ পর্যন্ত তিনি যেভাবে চিকিৎসকদের পরামর্শ উড়িয়ে, হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে, বাইরে ঘুরে বেড়িয়েছেন, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত ওই আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারা!! কীকরে তাঁরা এমনটা করলেন, ভেবে পাচ্ছেন না কেউ।
এক বাসিন্দা বলেন, আতঙ্কের চেয়েও বড় বিষয়, উচ্চশিক্ষিত পরিবারের এমন যদি করে, জেনেশুনে গোপন করে গেল। বাইপাসের ধারে এই আবাসনের বিভিন্ন ব্লক মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার মানুষের বাস। অনেক পরিচারিক-পরিচারিকা আবাসনের একাধিক ফ্ল্যাটে কাজ করেন। তাঁরাও আর আবাসনে আসতে চাইছেন না।
তবে এতদিন তো এই পরিচারিকারা বিভিন্ন ফ্ল্যাটে যাতায়াত করেছেন, আশপাশের দোকানে গিয়েছেন, আবাসনের বাইরে অন্য বাড়িতেও গিয়েছেন। ফলে এখন আশঙ্কায় রয়েছেন সকলেই।
স্থানীয় ওষুধের দোকানের কর্মী জানান, তাঁরাও আতঙ্কে রয়েছেন। বলেন, আবাসন থেকে অনেকে আসেন ওষুধ কিনতে, আমরাও যাই, তবে আর যাব না।
স্থানীয় বাসিন্দারাও আতঙ্কিত। একজন বললেন, সকাল থেকে টেনশনে আছি, এরা কোথায় কোথায় যাতায়াত করেছে জানি না, আমাদেরও না ছড়িয়ে পড়ে, আতঙ্কে আছি। আরেকজনের দাবি, মার্কেট থাকায় ওখানে প্রায়ই যেতে হয়।
করোনার প্রতিষেধক এখনও অধরা। ফলে সচেতনতা আর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাই এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায়। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে এক শিক্ষিত পরিবারের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় প্রশ্নের মুখে বহু মানুষের নিরাপত্তা।