করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছেই। কোন কোন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নানা মত। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের এক সংস্থা জানাল, শুধু হাঁচি, কাশি, ছোঁয়া নয়, এয়ারকন্ডিশন মেশিনের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে এই মারণ রোগ।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিসিজ একটি পরীক্ষা করে এই ধারণা করছে। তিনজন করোনা আক্রান্তকে রাখা হয়েছিল, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এমন একটি ঘরের এয়ার ডাক্টের মধ্যে মিলেছে রোগের জীবাণু। এই ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে বইকি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রুজ জাহাজগুলিতে বাইরের বাতাসের রাস্তা খুলে দিলে, রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। বরং ঘরের বাতাস রিসার্কুলেশন হলে বিপদ বাড়তে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে প্রিন্ম নামক ক্রুজটি নোঙর করার পরই এই রিপোর্ট সামনে আসে। প্রিন্সের যাত্রীদের করোনা-সংক্রমণের পরীক্ষা হয়। রিপোর্ট আসা অবধি কোয়ারেনটাইন রাখা হয় যাত্রীদের।
আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের এক জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জাহাজে এয়ার ডাক্ট থাকে তা ৫ হাজার ন্যানোমিটারের থেকে ছোট পার্টিকলগুলিকে আটকাতে পারে না। যদিও করোনা ভাইরাসের মাপ এখনও অজানা। সার্স-এর মাপ ছিল মাত্র ১২০ ন্যানোমিটার। যদি করোনা ভাইরাসের মাপও এমন হয়, তাহলে এসি মেশিন মারফত ছড়িয়ে পড়বে ভাইরাস।
যদিও এয়ারলাইলস সংস্থার দাবি, তাঁদের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এয়ার কন্ডিশনে ক্ষুদ্রাতিক্ষদ্র ভাইরাসও ছড়ানো থেকে আটকায়।