মুম্বই: ইয়েস ব্যাঙ্ক কাণ্ডে তদন্তকারী সংস্থাগুলির নজরে রানা কপূরের গোটা পরিবার। রানার মেয়ে রোশনি কপূরকে গতকাল মুম্বই বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান ধরে লন্ডন যাচ্ছিলেন তিনি।

ইয়েস ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠাতা রানা কপূরের পরিবারের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এঁদের মধ্যে রানা ছাড়া রয়েছেন তাঁর স্ত্রী বিন্দু, ও তিন মেয়ে রাখি কপূর ট্যান্ডন, রাধা কপূর ও রোশনি কপূর। তিন মেয়ের একজন থাকেন লন্ডনে। গতকাল রোশনিকে লন্ডনের বিমান ধরতে বাধা দেওয়া হয়েছে। রানা কপূরকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে, মুম্বইয়ের এক আদালত রায় দিয়েছে, ১১ তারিখ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকবেন তিনি।

ইয়েস ব্যাঙ্ক দিওয়ান হাউজিং ফিনান্স লিমিটেডকে ৩৭০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়। এরপর দিওয়ান হাউজিং ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেয় ডুইট আরবান ভেঞ্চার্স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডকে। এই ডুইট আরবানের ১০০ শতাংশ মালিকানা আবার রানা কপূরের দুই মেয়ে রোশনি আর রাধার। অভিযোগ, নিয়মকানুন শিকেয় তুলে ইয়েস ব্যাঙ্ক প্রথমে দিওয়ান হাউজিংকে ঋণ দেয়, বদলে তাদের সুবিধে হিসেবে পাইয়ে দেওয়া হয় ৬০০ কোটি টাকা। গোটা বিষয়টির তদন্তে নেমেছে ইডি। রানার বাড়ি, ডুইট আরবানের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে তারা।

ইডির অভিযোগ, রানা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। গোটা ঘটনায় কপূর পরিবারের তৈরি কয়েকটি সংস্থার ভূমিকা তারা খতিয়ে দেখছে, অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ভাবা হচ্ছে। যদিও রানা কপূরের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল তদন্তে সহযোগিতা করছেন, অথচ তাঁকেই আলাদা করে টার্গেট করেছে ইডি।