নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। কড়া ব্যবস্থা দেশ জুড়ে। কিন্তু দেশ কঠিনতম পরিস্থিতিতেও সুরক্ষিত আছে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
সম্প্রতি এক সংবাদ সংস্থার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, অতিমারীর বিরুদ্ধে এই লড়াই হল গত কয়েক দশকের ‘বৃহত্তম অদৃশ্য লড়াই’। এই কঠিন পরিস্থিতিতে সতর্কতা অবলম্বন করছে সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা। করোনা-যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দফতরের প্রতিটি নির্দেশ তারা মেনে চলছে, জানালেন রাজনাথ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, " কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে এই লড়াই বোধ হয় আমাদের জীবদ্দশায় সবথেকে বড় অদৃশ্য লড়াই। এই লড়াইয়ের সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির উপর।"
তাঁর কথায়, সরকারি সবকটি এজেন্সি হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই চালাচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশকে সাহায্য করছে। সামরিক বাহিনীর কাজে কি করোনা প্রভাব বিস্তার করেছে? রাজনাথের জবাব, তারা সম্ভাব্য সব পরিস্থিতির জন্য তৈরি। ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য ও যে কোনও বিরুদ্ধ শক্তিকে প্রতিহত করতে তৈরি তারা।
জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোলের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তে কড়া হাতে শত্রু দমন করছে।
হালে মুম্বইয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর ২১জন জওয়ানের শরীরে কোভিড ১৯-এর উপস্থিতি পরীক্ষায় ধরা পড়ে। তাঁদের নৌবাহিনীর হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তারই মধ্যে রাজনাথের এই মন্তব্য দেশকে আশ্বস্ত করার লক্ষ্যেই, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
যখন ভারত সার্ক-ভুক্ত দেশগুলিতে করোনা-সংক্রমণ রুখতে এগিয়ে আসছে, তখন পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। ভারতও তার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, চিকিৎসা-সহায়ক ব্যবস্থা, কারিগরিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
সরকারের তরফে DPSU গুলিকে এই পরিস্থিতিতে ভেন্টিলেটর, মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য সামগ্রী তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীতেও পদ নির্বিশেষে বাইরে থেকে আসা সকলকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। জানালেন, রাজনাথ সিংহ। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনেও বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কারণ, সেখানে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলা কঠিন।