নয়াদিল্লি: করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন অধ্যাপক। এই পরিসংখ্যান গত ২০ দিনের। প্রত্যেককে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে মৃ্ত্যু হয়েছে তাঁদের। আর এই পরিসংখ্যানে সিঁদুরে মেঘ দেখছে কর্তৃপক্ষ। রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাকিদের মধ্যেও।


মেডিসিন বিভাগের ৫৮ বছর বয়সী অধ্যাপক সাদাব খান, আইন বিভাগের  ৫৯ র বয়সী  ডিন আহমেদ সামদানি , সংস্কৃত গবেষক বছর ৬০-এর খালিদ বিন ইউসূফ। ক্রমেই বাড়ছিল সংখ্যাটা। একলাফে এখন মৃতের সংখ্যা ২০ ছুঁইছুঁই। কিন্তু এই একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক অধ্যাপকের মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাকিদের মধ্যেও।


সংবাদমাধ্যমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ জ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপক তথা মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। গত কয়েকদিনে আমরা আমাদের একাধিক বর্ষীয়ান অধ্যাপককে হারিয়েছি। ২০ দিনের মধ্যে ১৮ জন অধ্যাপকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্দরে। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে জহরলাল নেহেরু মেডিক্য়াল কলেজে ১০০ জন রোগী চিকিৎসাধীন।


গতকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তারিক মানসুর আইসিএমআরকে চিঠি লিখেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, আইসিএমআরের পক্ষ থেকে নমুনা পরীক্ষা করা হোক। স্ট্রেন কতটা মারাত্মক এবং তা কতটা ক্ষতি করতে পারে তা জানানো হোক। চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের আশঙ্কা সম্ভবত কোনও নির্দিষ্ট স্ট্রেনেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রত্যেকে। এই শঙ্কা আদৌ সত্যি কি না তা দেখুক বিশেষজ্ঞরা। আমাদের মনে হচ্ছে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় বা তার আশেপাশের অঞ্চলে এই স্ট্রেন ছড়িয়ে আছে। কীভাবে সংক্রমণ রোধ করা যায় তার জন্য পরামর্শ দিক বিশেষজ্ঞরা।


আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, জহরলাল নেহেরু মেডিক্য়াল কলেজে যে অধ্যাপকদের ভর্তি করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অনেকেই অবসরপ্রাপ্ত। একইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে একাধিক কর্মরত অধ্যাপক। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটা প্রায় ৪০-এর কাছাকাছি।