নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে গঙ্গায় শতাধিক দেহ ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল যে এই দেহগুলি নিয়ে। মোদি সরকারকে প্রশ্ন করেছিল বিরোধিরা। যদিও সংসদে জানান হল, করোনায় মৃত কতজনের দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের জানা নেই।  


গতকাল রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর টুডু লিখিত জবাবে এ কথা জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা-র তরফে রাজ্য সরকারগুলর কাছে কত মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই তথ্য চাওয়া হয়েছিল।  তাঁর দাবি, সেই তথ্য সরকারের হাতে নেই।  সম্প্রতি একটি বইয়ে ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা-র ডিরেক্টর জেনারেল রাজীবরঞ্জন মিশ্র দাবি করেছেন, জেলাশাসক ও পঞ্চায়েত কমিটিগুলির রিপোর্টে অনুযায়ী, তিনশোর বেশি মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসানো হয়নি।    


প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ মারাত্মক আকার নিয়েছিল সংক্রমণ। মৃত্যুর সংখ্যা ভয়ঙ্কর হারে বেড়েছিল গোটা দেশে। যার থেকে করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভে মৃত্যু সর্বাধিক হয়েছিল দেশে। করোনা প্রথম ভারতে হানা দেওয়ার পরেও সেরকম মৃত্যু হয়নি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে। উল্লেখ্য সারি সারি দেহ সেসময় গঙ্গায় ভেসে আসতে দেখা গিয়েছিল। এই নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের অস্বস্তি বেড়েছিল। তবে যোগী সরকার দাবি করেছিল করোনায় মৃতদের দেহ সেগুলি নয়। কিন্তু বিরোধীরা এই নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল।


তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও'‌ ব্রায়েন জলশক্তি মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন যে গঙ্গায় কতজন কোভিড রোগীর দেহ ফেলা হয়েছে। এরপরই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই উত্তর আসে। উত্তর প্রদেশে গঙ্গা থরে থরে দেহ ভেসে আসতে দেখা গিয়েছিল করোনার সেকেন্ড ওয়েভের সময়। উত্তর প্রদেশ থেকে বিহারে এসে ঠেকছিল দেহগুলি। এই নিয়ে আতঙ্ক বেড়েছিল.