নয়াদিল্লি: চিনে করোনাভাইরাস মহামারীর জেরে গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। চিনে ইতিমধ্যেই ২১৩ ছুঁয়েছে মৃতের সংখ্যা, শুধু হুবেই প্রদেশে মারা গিয়েছেন ২০৪ জন। গতকাল পর্যন্ত খবর, এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে ৯,৬৯২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে।


হু জানিয়েছে, ১৮টি দেশে করোনা সংক্রমণের ১০০টির মত ঘটনা সামনে এসেছে তবে চিনের বাইরে কোথাও কারও এই রোগে প্রাণ যায়নি। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ইতালিতেও, সেখানে বেড়াতে যাওয়া দুই চিনা নাগরিকের শরীরে ধরা পড়েছে এই ভাইরাস। প্রধানমন্ত্রী গিসপ্পে কন্তে বলেছেন, ইতালি ও চিনের মধ্যে সবরকম বিমান যোগাযোগ বন্ধ রাখছেন তাঁরা। যদিও হু-র বক্তব্য, তারা চিনের সঙ্গে বাণিজ্য বা ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনওরকম কড়াকড়ির বিরোধী। তবে এয়ার ফ্রান্স, আমেরিকান এয়ারলাইন্স ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ চিনের মূল ভূখণ্ডে বিমান চলাচল স্থগিত রেখেছে। বিদেশি রাষ্ট্রগুলি চিন থেকে ফেরত আনছে তাদের নাগরিকদের।

সব কিছু ঠিক থাকলে আজ সন্ধে থেকে য়ুহান শহরে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানো শুরু করবে দিল্লি। তাঁদের নিয়ে আসার জন্য তৈরি দুটি বিমান কিন্তু এখনও চিনা কর্তৃপক্ষের সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। তা পাওয়া গেলেই শুরু হবে উদ্ধারকাজ। দিল্লি জানিয়েছে, তারা হুবেই প্রদেশে অবস্থানকারী ৬০০-র বেশি ভারতীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশে ফেরার ব্যাপারে তাঁদের সম্মতি নিয়েছে। সারাক্ষণ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে চিনা সরকারের সঙ্গে, খুব শিগগিরই ভারতীয়দের চিন ছাড়ার ব্যাপারে সম্মতি মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চিন থেকে ভারত সফরে আসা পর্যটকদের ওপর কোনও কড়াকড়ি জারি করা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।

যে হুবেই প্রদেশ থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, সেখানকার ৬ কোটির মত মানুষ এখন কার্যত ঘরবন্দি। গতকাল পর্যন্ত এই প্রদেশে ৬,০০০টির মত করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত মামলা সামনে এসেছে। হু জানিয়েছে, চিনের থেকেও তারা বেশি চিন্তিত যে সব দেশে এই ভাইরাস রোখার মত পরিকাঠামো নেই, তাদের নিয়ে। এই সব দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা।