লখনউ: উত্তর প্রদেশের ফারুকাবাদে ২৩ জন শিশুকে পণবন্দি করে রাখা ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারাল। তার স্ত্রীও গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা গিয়েছেন বলে খবর। অপহৃত ২৩টি শিশুকেই উদ্ধার করেছে পুলিশ।


অপহরণকারীর নাম সুভাষ বাথাম। বাড়ি ফারুকাবাদের মহম্মদাবাদের কাঠরিয়া গ্রামে। খুনের অভিযোগে জেল খেটেছে সে, আপাতত জামিনে বাইরে ছিল। তার বিরুদ্ধে চলা মামলা তুলে নেওয়ার দাবিতে সে ওই শিশুদের বন্দি করে ফেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, গতকাল সন্ধেয় নিজের মেয়ের জন্মদিনের ছুতোয় সে গ্রামের ২৩টি শিশুকে তার বাড়িতে নেমন্তন্ন করে, তারপর নীচের বেসমেন্টে আটকে ফেলে তাদের। গ্রামের বাসিন্দারা দরজা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করলে সে ভেতর থেকে গুলি চালাতে শুরু করে, এতে আহত হন একজন। বাড়ির জানালা দিয়ে বোমাও ছোঁড়ে সে। চিৎকার করতে থাকে, তাকে অন্যায়ভাবে খুনের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

এরপরই উদ্ধারে নামে উত্তর প্রদেশ পুলিশ ও সন্ত্রাস বিরোধী শাখা। গোটা অপারেশনের নাম দেওয়া হয় অপারেশন মাসুম। ডাকা হয় সুভাষের আত্মীয় পরিজন ও গ্রামের নেতাদের। বাড়ির সামনে ভিড় করেন গ্রামবাসী, মূলত ছিলেন পণবন্দি ২৩টি শিশুর বাবা মা। ভেতরে বাচ্চারা থাকায় পুলিশকে সাবধানে কাজ করতে হচ্ছিল। এক আত্মীয়কে তার সঙ্গে কথা বলতে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু সুভাষের গুলিতে আহত হন তিনি। শেষমেষ ৯ ঘণ্টার অপারেশনের পর পুলিশের গুলিতে সুভাষের মৃত্যু হয়। আহত হন তার স্ত্রীও, হাসপাতালে মারা যান তিনি। ডিজিপি ওপি সিংহ ও মুখ্য স্বরাষ্ট্র সচিব গভীর রাতে জানিয়েছেন, সন্ত্রাস বিরোধী শাখা ও এনএসজি-র দল আসার আগে সুভাষ হুমকি দিতে শুরু করে। তখন অপারেশনে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত গুলি চালাতে শুরু করলে জবাবি গুলিতে তার মৃত্যু হয়। ২৩টি শিশুকেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।


মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাত ৮টা থেকে টানা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছিলেন, বৈঠক করেন পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। উদ্ধারকাজে যোগ দেওয়া পুলিশকর্মীদের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তিনি।