নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপে হ্রাস পেল বায়ুদূষণের মাত্রাও। মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় গত রবিবার, অর্থাৎ ২২ মার্চ, দেশব্যাপী 'জনতা কার্ফু' কার্যকর হয়েছিল। ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সেদিন দেশের বিভিন্ন বড় শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা অত্যন্ত কম ছিল। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, লখনউ ও বেঙ্গালুরুর মত শহরের বাতাসের গুণমান ছিল বেশ ভাল। ওই দিন এই শহরের দূষণ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, ওইদিন ভোররাত ১টা নাগাদ দিল্লির দূষণের মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১২৬ মাইক্রোগ্রাম। ঠিক ১২-ঘণ্টা পর, অর্থাৎ দুপুর ১টা নাগাদ চা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল। তবে, একদিনের কার্ফুতে সমস্তরকম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পাঞ্চল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা ও গাজিয়াবাদের দূষণের মাত্রা খারাপ থেকে মাঝারি মানের ছিল।
দেশের যে সব বড় শহরগুলিতে বাতাসের গুণমানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছিল বা বায়ুদূষণের মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছিল, সেই তালিকার প্রথম সারিতে রয়েছে কলকাতা। শহর কলকাতার বাতাসের গুণমানে প্রভূত উন্নতি দেখা গিয়েছিল। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়, ওইদিন কলকাতার হাওয়ার গুণমান সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স (একিউআই) ছিল ২.৫ পিএম। যা যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য হিসেবেই ধরা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্ফুর সময় রাস্তায় বেসরকারি গাড়ি থেকে শুরু করে কম-গুরুত্বপূর্ণ যানবাহনের সংখ্যা কমে যাওয়া, কোনও নির্মাণের কাজ না হওয়ার ফলে বাতাসের গুণমান বেড়ে গিয়েছিল। তাঁদের দাবি, করোনার ফলে যদি এখন এমন লকডাউন কিছুদিন চলে, তাহলে, বাতাসের গুণমানে প্রভূত উন্নতি হবে। দূষণ অনেকটাই কমে যাবে। ফলে, জীবাণু-সংক্রমণও কমবে।