মুম্বই: লকডাউনকে মানুষের গুরুত্ব না দেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাল শিবসেনা। দলের মতে, নরেন্দ্র মোদির তালি মারা ও থালা বাজানোর আহ্বানের জন্যই মানুষ গোটা বিষয়টাকে হাল্কা করে দেখছে। করোনা অতিমারীর বিপদের তীব্রতাকে বুঝতে পারছে না।
দলীয় মুখপত্র 'সামনা'-তে বলা হয়েছে, যদি কোনও বিষয়ে ভয় ও আতঙ্ক থেকে থাকে, তাহলেই মানুষ তা গুরুত্ব সহকারে বিচার করবে। শিবসেনার দাবি, মানুষের মধ্যে যখন ভয়ের সঞ্চার হচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে জনগনকে বারান্দা ও জানলায় এসে হাততালি ও থালা বাজানোর আহ্বান করলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রচুর সংখ্যক মানুষ সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে আসলেন। কার্যত নাচানাচি শুরু হয়ে গেল। এর ফলে, গোটা বিষয়টা উৎসবে পরিণত হল।
শিবসেনার প্রশ্ন, তাহলে কে গোটা বিষয়টার গুরুত্ব কমিয়ে হাল্কা মনোভাব নিতে বাধ্য করল? রাজনৈতিক দলগুলি রাস্তায় নেমে স্লোগান দিতে শুরু করল। আমরাই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছি। রাজ্য সরকারের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাকে মান্য় করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, এখন প্রধানমন্ত্রী আহ্বান করছেন, বাড়িতে থাকতে এবং লকডাউন মেনে চলতে। কিন্তু, রবিবার বিকেলের গণ-হাততালি ও থালা বাজানোর ঘটনার পর মানুষ আর করোনাভাইরাসকে ভয় পাচ্ছে না। মানুষ যদি মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর বার্তাকে গুরুত্ব না দেয় বা চিন্তাভাবনা না করে তাহলে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা অর্থহীন।
সামনা-য় বলা হয়েছে, দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল যখন তাঁর রাজ্যের সীমান্ত আটকে দিলেন এবং বিমানবন্দর বন্ধ করার দাবি তুললেন, তখন অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক জানিয়ে দিল, বিমানবন্দর খোলা থাকবে। এমনকী, আন্তর্জাতিক উড়ানের ওঠানামাও স্তব্ধ করা হয়নি।
ফলে, রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে কখনই করোনাভাইরাসকে আটকানো যাবে না। এইমস জানিয়েছে, মহামারীর মোকাবিলা করতে তাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ সামগ্রী নেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচিত এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া, কারণ এটা তাদের আওতাধীন।