কলকাতা: পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্যে পরপর আসছে ট্রেন। ট্রেন আসছে করোনা হটস্পট মহারাষ্ট্র থেকেও। এভাবে 'গাদাগাদি করে শ্রমিক রাজ্যে এলে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই পারে বলে আগেও কেন্দ্রর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, করোনা-সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছিল। কিন্তু কেন্দ্রের শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে এভাবে শ্রমিকদের পাঠানোর সিদ্ধান্তের পদক্ষেপকে মুখ্যমন্ত্রী ‘একপেশে’বলেন।
আগামী রবিবার লকডাউন ৪-এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তারপর কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে কেন্দ্রর তরফে এখনও কিছু ঘোযণা না হলেও, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘হটস্পট থেকে ট্রেনে কেন গাদাগাদি করে আনা হচ্ছে? মহারাষ্ট্র, চেন্নাই, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি থেকে ট্রেন আসছে। সামাজিক দূরত্ব কেন মানছে না রেল, বাড়তি ট্রেন নয় কেন? অনেকে না খেতে পেয়ে মারাও যাচ্ছেন। শ্রমিক এক্সপ্রেসের নামে করোনা এক্সপ্রেস হয়ে গেছে। তাহলে মন্দির, মসজিদ, গির্জা কী দোষ করল?’
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্র এমন করলে, কেন আমি সব বন্ধ রাখব?’
তাই করোনা-প্রকোপ বাড়ছে, এই কথা স্বীকার করে নিয়েই তিনি বলেন ১ জুন থেকে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার খুলে যাবে।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ধর্মস্থানে গেলেও, একসঙ্গে ১০জনের বেশি ঢোকা যাবে না। লকডাউনের নিয়ম মেনেই মন্দির, মসজিদ, গির্জা খুলবে। স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। বড় কোনও উৎসব এখন করা যাবে না। ১ জুন সকাল ১০টায় মন্দির খোলা যাবে।
সেই সঙ্গে ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘ভিন রাজ্য থেকে এলে গ্রামে স্কুলেই কোয়ারেন্টিন করা হবে। ৭দিন রাখার পরে করোনা পরীক্ষা করা হবে। ১০দিন পরে করোনা না পেলে বাড়ি পাঠানো হবে।’