ওয়াশিংটন: বিশ্বকে করোনা টিকা সরবরাহ করায় ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। অন্যতম সেরা সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ ও করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বরিষ্ঠ উপদেষ্ঠা অ্যান্টনি ফসি। যদিও তাঁর বক্তব্য, করোনা সঙ্কট অত্যন্ত গুরুতর হলেও মানব দেহে এই টিকা পরীক্ষা নিয়ে তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই।


ফসি আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন দুই ওষুধ সংস্থা মডার্না এবং ফিজার মানব দেহে করোনা টিকা পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ধাপে রয়েছে। আইসিএমআর, ডিপার্টমেন্টস অফ বায়োটেকনোলজি এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আয়োজিত একটি ওয়েব কনফারেন্সে তিনি জানিয়েছেন, ভারতের টিকা প্রস্তুত করায় দক্ষতা এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। টিকা তৈরির জন্য সব পরীক্ষা যাবতীয় নিয়মকানুন মেনেই হচ্ছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিটি পর্যায়।

মানব শরীরে টিকা পরীক্ষার অর্থ হল, সুস্থ মানুষের শরীরে অল্প পরিমাণ রোগ জীবাণু ঢুকিয়ে দেওয়া, তবে তাঁর আগে তাঁকে ওই রোগের টিকা দিতে হবে। এর ফলে গবেষকরা জানতে পারেন, ওই টিকা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম হল কিনা। ম্যালেরিয়া আর ডেঙ্গির ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা চলেছে, যদিও এর নৈতিকতা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা দ্বিধাবিভক্ত। কারণ করোনা একটি অপরিচিত রোগ, তার কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তাই প্রশ্ন উঠেছে, স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে ইচ্ছাকৃতভাবে জীবাণু প্রবেশ করিয়ে তাঁদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত।

কনফারেন্সে দেশের আগামী স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, করোনা টিকা ঘরে ঘরে যাতে সুষ্ঠুভাবে পৌঁছে যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা চালাচ্ছে সরকার। তবে বিশেষ গুরুত্ব পাবেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা। যদিও বয়স্ক, দরিদ্র ও অন্যান্য অসুস্থতায় ভোগা ব্যক্তিদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সব থেকে বেশি, তাঁদের বিষয়টি নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।