হায়দরাবাদ: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ২৯ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে তেলঙ্গানায়। এমনটাই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।


আগামী ১৭ মে শেষ হচ্ছে দেশজুড়ে চলতে থাকা বর্তমান লকডাউনের মেয়াদ। গতকাল সন্ধায়, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল হায়দরাবাদে। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে চলে ওই বৈঠক। সেখানেই তেলঙ্গনায় লক়াউনের মেয়াদবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর বলেন, মানুষ চাইছে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি হোক। আমি প্রধানমন্ত্রীকে আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছি।


বর্তমানে, রাজ্যের ৬টি জেলা রেড জোনে রয়েছে। ১৮টি রয়েছে অরেঞ্জ জোনে এবং নটি গ্রিন জোনে। জিএইচএমসি, রঙ্গরেড্ডি ও মেদচাল-- এই তিন জেলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এছাড়া আরও তিন জেলায় সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই বেশি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র বলেছে রেড জোনেও সব দোকান খোলা থাকবে। কিন্তু, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি হায়দরাবাদ, মেদচাল, সূর্যপেট ও বিকারাবাদে কোনও দোকান খুলবে না।


তেলঙ্গানায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ১১০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। এর মধ্যে ৪৩৯ জন চিকিৎসাধীন এবং ৬২৮ জনকে ছাড়া হয়েছে। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, কেন্দ্রের ঘোষণার আগেই, তেলঙ্গানা প্রশাসন লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধি করে ৭ মে করে দেয়। এখন, অভ্যন্তরীণ রিপোর্টের ভিত্তিতে সেই সময়সীমাও ফের বাড়িয়ে ২৯ মে করা হল।


সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, মূলত হায়দরাবাদ ও তার লাগোয়া তিন জেলা -- রঙ্গরেড্ডি, মেদচাল ও বিকারাবাদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট আক্রান্তের ৬৭ শতাংশ এই চার জেলার। মৃতদের ৮৩ শতাংশ এই চার জেলার। গত ১০ দিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই চার জেলায়।