নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সংক্রমণের আঁতুড়ঘর বলে মনে করা হচ্ছে নিজামুদ্দিন এলাকাকে। সেখানে তবলিগ জামাতের সভা উপলক্ষ্যে দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভক্তদের মাধ্যমে নানা জায়গায় করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত সেখানে পড়ে থাকা কয়েক হাজার লোককে সরিয়ে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। গোটা এলাকা সিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেখানে সর্বত্র ড্রোন নামিয়ে ওপর থেকে জীবাণুনাশক স্প্রে করে দক্ষিণ দিল্লি পুরসভা। গত ২১ মার্চ নিজামুদ্দিনের হজরত নিজামুদ্দিন মারকাজে ১৭৪৬ জন ছিল। এদের ২১৬ জন বিদেশি নাগরিক। পাশাপাশি দেশের নানা জায়গায় তবলিগ জামাতের কাজে ৮০০-র বেশি বিদেশি ছড়িয়ে পড়েছে বলেও খবর। ভারতীয় জামাত কর্মীরাও শহরে শহরে ধর্মীয় প্রচারে জড়িত।
দক্ষিণ দিল্লি পুরসভার তরফে জানানো হয়, নিজামুদ্দিন ইস্ট, নিজামুদ্দিন বস্তি ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ১ শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট সলিউশন ছড়াতে ওই ড্রোন নামানো হয়। জীবাণুনাশ করে ওই রাসায়নিক। বিতর্কিত মারকাজ ভবনেও স্প্রে করা হয় তা। পুরসভার জনৈক শীর্ষকর্তা বলেন, আমরা এলাকায় মানুষে মানুষে স্পর্শ হওয়া কমাতে চেয়েছি বলে ড্রোন মোতায়েন করা হয়। আমরা চাই না, আমাদের দায়িত্ববান স্যানিটেশন কর্মীরা জীবাণু সংক্রমণের শিকার হোন। তাছাড়া ড্রোন থাকলে বড় এলাকা কভার করতে সুবিধাও হয়। ড্রোনটি ২০ মিনিট করে ১৮ রাউন্ড ৫ লিটার জীবাণুনাশক স্প্রে করেছে। আমরা ওখানে আরও ড্রোন নামাতে পারি। সোমবার থেকে বারবার স্য়ানিটেশন অভিযান চলছে নিজামুদ্দিন অঞ্চলে। দিল্লি পুলিশ নিজামুদ্দিন মারকাজ ভবন পুরোপুরি খালি করে দেওয়ার পর জীবাণুনাশক ছড়িয়ে স্যানিটেশনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ধর্মীয় সভায় যোগদানের পর স্থানীয় বহু মানুষের মধ্যে কোভিড ১৯ সংক্রমণের প্রমাণ মেলার পর পুলিশ নিজামুদ্দিন ওয়েস্ট-এর সিংগভাগ এলাকা কর্ডন করে ঘিরে ফেলে বলা জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজক ‘মৌলানা’র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন।