ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭০০। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। প্রায় ১২ হাজার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে বলে সন্দেহ করছে কর্তৃপক্ষ। এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে বাজারে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগানের অভাবের কারণে বিকল্পের কথা ভাবতে হচ্ছে। মারাত্মক এই ভাইরাস সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব, সরকারের প্রস্তুতিহীনতা ও আর্থিক সংকটের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জরুরিপরিষেবার জন্য পরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইধি এগিয়ে এসেছে। কিন্তু প্রোটেকটিভ গিয়ার ও অন্যান্য সরঞ্জামের অপ্রতুলতার কারণে তাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের রেনকোট ওবরার বুট দিচ্ছে। যখন সরকারি পরিষেবা ব্যর্থ হয়, সেই পরিস্থিতিতে এই ফাউন্ডেশন বিগত কয়েক দশক ধরেই পাক জনগনের সেবায় এগিয়ে আসে।সমগ্র বিশ্ব যখন এই জগতজোড়া অতিমারী মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, তখন পাকিস্তানের ক্ষেত্রে পরিকল্পনার অভাব চোখে পড়ছে। সে দেশে এখনও লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। হাতে সময় নিয়ে প্রস্তুতি ও নোভেল করোনাভাইরাসেরসংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার গতিতে রাশ টানতে বেশিরভাগ দেশই লকডাউনের পথে হাঁটছে। সরকারের প্রস্তুতির ও প্রোটেকটিভ গিয়ারের অভাবের জন্য কয়েক সপ্তাহ আগে চিকিত্সকরা ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সায় নিযুক্ত এক চিকিত্সকের মৃত্যুও হয়েছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রক বাস্তবতা স্বীকার করে চিন থেকে সরঞ্জাম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিন থেকে ওই সরঞ্জাম না আসা পর্যন্ত ইধি ফাউন্ডেশন যে বিকল্প ব্যবহার করছে, পাকিস্তানকে সেই উপায়ই অবলম্বন করতে হবে। এই সংস্থাকে সরকার সমর্থন করে এবংঅ তীতেও সংকটের সময় তারা দেশকে অ্যাম্বুল্যান্স ও সরঞ্জাম দিয়ে দেশকে সাহায্য করেছে। করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতিতেও জনকল্যাণ, বিশেষ করে, দরিদ্রদের জন্য সরকারকে এ ধরনের সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। ইধিও জানিয়েছে যে, তারা কোভিড-১৯ নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষের ফোন পাচ্ছে সারা দেশ থেকে।