নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারী চলাকালীনই ধাপে ধাপে দেশের স্কুল কলেজ খুলে দিতে চায় কেন্দ্র সরকার। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হতে পারে। এ ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা তৈরি করছে তারা।
সূত্রের খবর, করোনা ম্যানেজমেন্টে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের নেতৃত্বে যে মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, তার সচিবরা স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন।
চলতি মাসের শেষে প্রকাশ করা হবে রাজ্যে রাজ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে চালু করার জন্য চূড়ান্ত আনলক গাইডলাইন। সম্ভবত তার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। যদিও রাজ্য সরকারগুলিই সিদ্ধান্ত নেবে ঠিক কখন ও কীভাবে পড়ুয়াদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনবে তারা।
এ ব্যাপারে ইস্যু করা হবে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি)। তারপর বার হবে জুলাইয়ের শুরুতে স্কুল শিক্ষা বিভাগের করা একটি চটজলদি সমীক্ষা রিপোর্ট।
সেই সমীক্ষায় অবশ্য স্পষ্ট, অভিভাবকরা কেউই চান না, তাঁদের ছেলেমেয়ে এখন স্কুলে যাক। কিন্তু রাজ্য সরকারগুলি কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছে, স্কুল বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলির ছেলেমেয়েরা সঙ্কটে পড়েছে।
তা ছাড়া হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের মত যে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম, তারাও উঁচু ক্লাসের ছেলেমেয়েদের স্কুল চালু করে দিতে চায়।
কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রক) ও স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রস্তাব দিয়েছে, তা কিছুটা এরকম---
- ধাপে ধাপে চালু করে দেওয়া হোক স্কুল কলেজ। ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম ১৫ দিন দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে আসুক।
- আলাদা আলাদা সেকশন ক্লাস করুক আলাদা আলাদা দিনে। অর্থাৎ কোনও স্কুলে যদি দশম শ্রেণিতে চারটি সেকশন থাকে তবে সেকশন এ আর সি নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে আসুক, বাকি দিনগুলিতে অন্য দুই সেকশন। স্কুল ২-৩ ঘণ্টার বেশি হবে না।
- সব স্কুল চলবে বিভিন্ন শিফটে- সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা আবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টে। মাঝে স্যানিটাইজেশনের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি। সব মিলিয়ে পড়ুয়া ও শিক্ষাকর্মীদের ৩৩ শতাংশই একদিনে স্কুলে আসবেন।
- যদিও প্রাথমিক বা তারও নীচের স্তরের পড়ুয়াদের এখন স্কুলে ডাকতে আগ্রহী নয় সরকার। তারা অনলাইনেই ক্লাস করবে।
- দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু হওয়ার পর শুরু হবে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির কয়েক ঘণ্টার জন্য ক্লাস।
যদিও করোনা পরিস্থিতি বিচার করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।