ঝিলম করঞ্জাই ও রুমা পাল, কলকাতা: একদিনে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের ছাড়িয়ে গেলে ১ লক্ষের গণ্ডি। ভোটের আবহে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল কমিশনকে চিঠি দিল চিকিত্সকদের দের সংগঠন। ভোট প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ অরাজনৈতিক সংগঠনের।


বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসেই বাড়ল উদ্বেগ। সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল করোনা সংক্রমণ। সোমবারের পর বুধবার দ্বিতীয়বারের জন্য এক লক্ষ পেরিয়ে গেল দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ভোট প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ অরাজনৈতিক সংগঠনের।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৩৬ জন। মঙ্গলবার  আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার ৯৮২। এর আগে সোমবারই প্রথম দৈনিক সংক্রণ ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। ওইদিন সংক্রমিত হন ১ লক্ষ ৩ হাজার ৫৫৮ জন। লকডাউনের মধ্যেও করোনা সংক্রমণের এই ছবি দেখা যায়নি। ২০২০-র ১৬ সেপ্টেম্বর ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৭ হাজার ৮৯৪।


এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। রিপোর্ট পজিটিভ প্রাক্তন ফুটবলার শ্যাম থাপার। ভোটের আবহে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ উদ্বেগ বাড়িয়েছে এ রাজ্যেও।  রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩ এপ্রিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৩৬, পরের দিন সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৯৫৭, ৫ এপ্রিল আক্রান্ত হন ১ হাজার ৯৬১ জন এবং ৬ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৮। এই প্রেক্ষিতে ভোট প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে সরব একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। বুধবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের কাছে এনএস রোডে পিপিই পরে বিক্ষোভ দেখান সংগঠনের সদস্যরা। পরে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন দেন সংগঠনের সদস্যরা।


অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। চিঠিতে চিকিত্সকরা লিখেছেন, গত এক মাসে দেশে ও রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ১০ গুণ বেড়েছে। কিন্ত রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ থেকে মিছিল, প্রচার কোথাও কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না। প্রচারের ক্ষেত্রে প্রোটোকল না মানা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ করা হোক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৭৭ জনের। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৩৫৫।