কলকাতা:  রাজ্যে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ।   করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করল রাজ্য। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল রাজ্য। রবিরারও ছুটির দিনও চিকিৎসক ও নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের  আসতে হতে পারে কাজে।


 উল্লেখ্য, সারা দেশের মতো এ রাজ্যের ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।  মঙ্গলবারের পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক করোনাভাইরাস  আক্রান্তের সংখ্যা ৯,৮১৯, যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬,৭৮,১৭২। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী,  ২৪ ঘণ্টায়  মৃতের সংখ্যা ৪৬। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০,৬৫২।


৭-৮দিনের মধ্যেই কলকাতা ও শহরতলিতে বাড়ানো হবে ১ হাজার করোনা বেড। গতকাল মঙ্গলবার রবীন্দ্রসদনে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেন ১৫টি সরকারি হাসপাতালের শীর্ষ কর্তারা। সূত্রের খবর ওই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়।


এম আর বাঙুর হাসপাতালে এই মুহূর্তে রয়েছে ৭২০ বেড। সেখানে আরও বেড বাড়ানো হবে। শম্ভুনাথ পন্ডিত, বাঙুর ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস, পিজি পলিক্লিনিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উত্তীর্ণকে নিয়ে কম্পোজিট কোভিড হাসপাতালের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এসএসকেএম হাসপাতাল সংলগ্ন তিন হাসপাতাল ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উত্তীর্ণ সমন্বয় রেখে চলবে। শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ড তৈরি হবে ২২০টি বেড নিয়ে। হাওড়ার বালটিকুরি ইএসআই হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ করা হবে। রাজারহাটের কোভিড হাসপাতাল সিএনসিআই ও চন্দননগরের একটি হাসপাতালে বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


পাশাপাশি জেলা হাসপাতালগুলিতে বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে সরকারি হাসপাতালে ফাঁকা জায়গা থাকলে সেখানে চিকিৎসার পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। দু’টি বেডের মধ্যের দূরত্ব কমিয়ে আরও, বেড বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এরই সঙ্গে পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্সের ব্যবস্থা যাতে থাকে এবং অক্সিজেনও মজুত রাখা হয়, সে বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়েছে।


এদিকে ভোট মিটলেই লাগামছাড়া হতে পারে করোনা সংক্রমণ। সূত্রের দাবি, সরকারি হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব। বাংলায় আট দফায় ভোট। রমরমিয়ে চলছে সভা-সমিতি-মিছিল-রোড শো। করোনা বিধির দফারফা। বাংলায় ম্যারাথন নির্বাচনের শেষ দফা ২৯ এপ্রিল। ফল ঘোষণা ২ মে। তখন করোনা পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে পৌঁছয়, তা ভেবেই এখন থেকে শিউরে উঠছেন অনেকেই।