চেন্নাই: দেশে ফের ভয়াবহ হচ্ছে করোনা। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু ভারত। প্রত্যেক দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিত ও মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি সামলাতে বিভিন্ন রাজ্য আংশিক লকডাউন ঘোষণার পথে হাঁটছে। অনেক জায়গায় জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরনোর আর্জি জানাচ্ছে প্রশাসন।


সচেতনতার বার্তা দিতে উদ্য়োগী ক্রিকেটের বাইশ গজও। এবং এ ব্যাপারে অভিনব উদ্যোগ নিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। করোনা মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করে তুলতে নিজেদের ট্যুইটার হ্য়ান্ডলের নাম বদলে ফেললেন ধোনিরা!


চেন্নাই সুপার কিংস তাদের ট্যুইটার হ্যান্ডলের নাম দিল, 'Chennai Super Kings - Mask P

du Whistle P
du!' অর্থাৎ, মাস্ক পোডু হুইসল পোডু। করোনা ঠেকাতে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বই তুলে ধরা হয়েছে ধোনিদের তরফ থেকে। এবং সেটাও অভিনব উপায়ে।


দিল্লির করোনার ছবিটাও ভয়াবহ। মঙ্গলবারই জানা গিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের স্ত্রী আক্রান্ত। পরিস্থিতি সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন। এবার দিল্লির প্রশাসনের পাশে এসে দাঁড়ালেন বিরাট কোহলি। জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক করোনা মোকাবিলার জন্য সচেতনতার বার্তা দিলেন দিল্লি তথা গোটা দেশের বাসিন্দাদের। আইপিএল চলছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক কোহলি ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত। আইপিএলে পরপর তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আরসিবি। ক্রিকেট যুদ্ধের ফাঁকে অবশ্য নিজের মানবিক দিকটা ভুলে যাননি কোহলি। দিল্লি পুলিশের অনুরোধে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে তিনি এগিয়ে এলেন। একটি ভিডিও বার্তা দিলেন সকলকে। সেই ভিডিও দিল্লি পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হল।


ভিডিওটিতে বিরাট বলেছেন, 'বন্ধুরা, আপনারা জানেন ফের ভয়াবহ হচ্ছে করোনা। পরিস্থিতি প্রত্যেক দিন খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। তাই আমি ফের একবার আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি। জরুরি পরিষেবার জন্য বা জরুরি কাজে বাড়ির বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পড়ুন। পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে চলুন। আপনাদের হাত স্যানিটাইজ করতে থাকুন। সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করা ভীষণ জরুরি। যদি অতিমারির বিরুদ্ধে ফের একবার দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করতে হয়, তাহলে পুলিশকর্মী ভাই-বোনেদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। এটা আমাদের সকলের কর্তব্য। আমি আগেও বলেছি, আপনি নিজে সুরক্ষিত তো গোটা দেশ সুরক্ষিত। নিজের দায়িত্ব পালন করুন। সব নিয়ম মেনে চলুন। জয় হিন্দ।'